অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট! তার আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) তৃণমূল পরিচালিত ২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন তাঁদেরই দলের সদস্য়রা! এর মধ্য়ে একটি, মোহনপুর ৩ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েতের মোট সদস্য় সংখ্য়া ১৯। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন তৃণমূলের ও ১ জন বিজেপির।
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব: ১৮ জন তৃণমূল সদস্য়র মধ্যে ১২ জনই, পঞ্চায়েত প্রধান রুনা পাত্রর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। মোহনপুর ৩ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস সদস্য় শুভেন্দু করের কথায়, পঞ্চায়েতের প্রধান পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে অসহযোগিতা করে কাজকর্ম করছেন। আমরা চাই প্রধান সদস্যদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। এই বিষয়টি আমরা বিধায়ককে জানিয়েছি। জানানোর পরেও সহযোগিতা পাচ্ছিনা। তাই এলাকার মানুষের পরিষেবা প্রদানের স্বার্থে অনাস্থা আনতে বাধ্য হলাম।
অন্য়দিকে, তৃণমূল পরিচালিত শিয়ালসাই ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধেও অনাস্থা এনেছেন তাঁরই দলের সদস্য়রা। গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৫ জন সদস্য়। প্রত্য়েকেই তৃণমূলের। তাঁদের মধ্য়ে ৮ জন, প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা এনেছে।
তৃণমূল ও বিজেপির বয়ান: তৃণমূল নেতা ও শিয়ালসাই ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ভগবান মাইতির দাবি, আমাকে উন্নয়নের কাজ করতে একশ্রেণীর পঞ্চায়েত সদস্যরা বাধা দিচ্ছেন ও চাপ দিচ্ছেন তাদের হয়ে কাজ করার জন্য । যারা আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনছেন সময় হলে আমি প্রকাশ করাবো যে প্রকৃত দুর্নীতিগ্রস্ত কারা ।
বিজেপি মুখপাত্র ও সহ সভাপতি অরূপ দাসের কথায়, কেশপুর এর সভাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুইজন পঞ্চায়েত সদস্যকে তুলে যে সততার প্রতীক হিসাবে তুলে ধরেছিলেন । আজকে মোহনপুরের ঘটনা প্রমাণ করে দিচ্ছে সততা স্বচ্ছতা বলে তৃণমূল কংগ্রেসে কিছু নেই। পঞ্চায়েত সহ রা বলছে এই দলটাই আর থাকা যায় না চুরি দুর্নীতিতে ভরে গেছে ।
তপন প্রধান বলছেন, দুর্নীতি প্রশ্নে বিজেপি কোন কথা বলার জায়গায় নেই। বিজেপিকে (BJP) মোহনপুরে চোখেই দেখা যায় না। মোহনপুরের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে আছে। তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি থাকলে সেটা আগামী দিনে ঠিক হয়ে যাবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলে ফাটল! অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ।