কলকাতা: অজয় নদের বাঁধ ভেঙে বিপত্তি। বীরভূমের নানুরে বাসাপাড়া এলাকায় বহু গ্রামে জল ঢুকেছে।  সুন্দরপুর, বাসাপাড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত।  বাসাপাড়া বাজার এলাকায় বাড়ি ঘর, দোকান জলমগ্ন। এই পরিস্থিতিতে ওই এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।  ঝাড়খণ্ডের শিকাটা ড্যাম থেকে জল ছাড়ার কারণেই এই বিপত্তি বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে দাবি। নানুরের হাড়মোড় গ্রামেও হু হু করে জল ঢুকছে।  বহু মানুষ গবাদি পশু নিয়ে উঁচু রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে, বৃষ্টি একটু কমার পর দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণও কমানো হল। 


সেচ দফতর সূত্রে খবর, আজ দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৯০০ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। মুলত ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিম বর্ধমানে প্রবল বৃষ্টির কারণে গতকালও জল ছাড়া হয়। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে অজয় নদে জল বাড়ায় ফাটল ধরেছে বাঁধে।  


পশ্চিম মেদিনপুরের ঘাটালের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক।  শিলাবতী, ঝুমি নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে।  নদী বাঁধ উপচে জল ধুকেছে গ্রামে । বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত। প্রশাসনের তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে মাইকে।  ঘাটাল পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ডই জলমগ্ন। ঘাটাল শহরে নৌকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।  


আরও পড়ুন, এবার দেরিতে বর্ষা বিদায়, স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টি কলকাতায়


ভাগীরথী ও অজয়ের জল বাড়ায় পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় চারটি ফেরিঘাট বন্ধ করে দিল প্রশাসন।  জলের স্রোত বেশি থাকায় নৌকা চললে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা। সেই কারণেই বন্ধ করা হয়েছে ফেরিঘাট বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। 


দ্বারকেশ্বর নদের বাঁধ ভেঙে বিপত্তি।  গতকাল রাতে হুগলির আরামবাগের দৌলতপুরে বাঁধ ভেঙেছে দ্বারকেশ্বর নদের। এর ফলে আরামবাগের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। মনসাতলা এলাকায় বাঁধ উপচে জল ঢুকেছে আরামবাগ শহরে।  আরামবাগ পুরসভার বহু এলাকা জলে ভাসছে। আরামবাগ থেকে কলকাতা আসার রাজ্য সড়কও জলের নীচে। আরামবাগ থেকে বাঁকুড়া ও বর্ধমানে যাওয়ার রাস্তাও জলমগ্ন।  সেই কারণে ওই সব রাস্তায় যান চলাচল করছে না। বহু বাড়িতে জল ঢুকেছে।  অনেক জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দারা আটকে পড়ায় উদ্ধারের জন্য নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।