কলকাতা : সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিলেন আখতার আলি। কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার পদে ইস্তফা। আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা আখতার ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ডেপুটি সুপারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েও দিয়েছেন তিনি। আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। দুর্নীতির অভিযোগে সরব হতেই সরকারি প্রতিহিংসার অভিযোগ ওঠে। একের পর এক বদলির অভিযোগও উঠেছে। আখতার আলির অভিযোগ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
এ প্রসঙ্গে আখতার আলি বলছেন, "চাকরিটা করি এবং মান-সম্মান রেখে মাথা উঁচু করে করি। কিন্তু, আমার ডিপার্টমেন্টই আমায় চাকরি করতে দিচ্ছে না। আমি আর জি কর নিয়ে মুখ খুলেছি। এটাই হচ্ছে আমার অপরাধ। আর জি করের দুর্নীতির এক্সপোজ করেছি এটাই আমার অপরাধ। ওরা মেনে নিয়েছে, আমি ওদের বিরুদ্ধে। কিন্তু, আমি ওদের বিরুদ্ধে নই। এটা আমি এখনও পর্যন্ত বোঝাতে পারিনি যে, আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে। হাত ধুয়ে আমার পিছনে পড়ে আছে। আমি চাকরি করতে পারছি না। আমার ছুটি মঞ্জুর হচ্ছে না। আমি বাড়ি যেতে পারছি না...মুর্শিদাবাদে। ছুটি প্রিন্সিপ্যাল তখন স্বাস্থ্য দফতরে পাঠিয়ে দেন, স্বাস্থ্য দফতরকে দিয়ে খারিজ করিয়ে দেয়। আমাদের সার্ভিসে অনেক নিয়ম আছে। স্টেশন লিভ করতে গেলে অনুমতি লাগে, ইএল লাগে... ছুটি লাগে ইত্যাদি। আমি কোনও বেনিফিট পাচ্ছি না। আমি তো জানি আমি কিছুই পাব না।"
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তিনিই প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই কারণে তাঁকে বদলিও হতে হয়েছিল, বলে এর আগে দাবি করেন তিনি। গত অগাস্ট মাসে আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন তিনি। তিনি দাবি করেন, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মুখ খোলা ও আইনি পথে যাওয়ার খেসারত দিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁকে। তাঁর অভিযোগ, শাসক তাঁকে রাজ্য সরকার বিরোধী মনে করে সারা রাজ্য ঘোরাচ্ছে, বদলি করছে, বন্ধ করে দিয়েছে মাইনেও, তিনি পেনশনও পাবেন না! 'তাহলে কি ওদের জোরটা শুধু আখতার আলির উপরেই? ওদের আর কোথাও দুর্নীতির উপর কোনও জোর নেই। একটা সবুজ ছাপ লাগলেই সাত খুন মাফ ! আমাকে কী করবে, খুব বেশি হলে শেষ করে দেবে, মেরে ফেলবে, বাংলার মানুষ আমার সঙ্গে আছে। আজকেও বলছি গভীর দুর্নীতি আছে এটার মধ্যে। আখতার আলি খান অতীন ঘোষের সিকিউরিটি ছিল, পার্সোনাল সিকিউরিটি। তাকে উনি সুদীপ্ত রায়ের সঙ্গে মিলে আরজি করে নিয়োগ করলেন যাতে তোলাবাজি করা যায়..কীভাবে ও তোলাবাজি করেছে...২২ লাখ টাকার গাড়ি নিয়ে ঘুরত।'