সমীরণ পাল, মোহন দাস ও চঞ্চল মজুমদার, উত্তর ২৪ পরগনা : উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থেকে ২ সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে STF। ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃতদের বাড়ি হুগলির আরামবাগ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর। পরিচিত যুবকদের জঙ্গি যোগ বিশ্বাস হচ্ছে না পাড়া-প্রতিবেশীদের।


আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার ২ সন্দেহভাজন। গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ভারত-বিরোধী নথি, লিফলেট। বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে বুধবার অভিযান চালায় STF। তাদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল, বুধবার শাসনের খড়িবাড়ি এলাকার এক গ্রামে আসছেন আব্দুর রকিব সরকার ও কাজি এহসানউল্লা নামে ২ সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গি। সেইমতো ফাঁদ পাতে এসটিএফ। গ্রামে আসতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁদেরকে।


পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত ২ জন ভারতীয় উপমহাদেশে আল কায়দার সংগঠনের সক্রিয় কর্মী। বাংলাদেশেও তাঁদের অবাধ যাতায়াত ছিল। তবে ধৃতদের জঙ্গি যোগের কথা বিশ্বাসই করতে পারছেন না পরিবারের সদস্য থেকে পাড়া-প্রতিবেশীরা। হুগলির আরামবাগে বাড়ি কাজি এহসানউল্লার। পরিবারের দাবি, তাঁরা জানতে,  কলকাতায় সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনাবেচার কাজ করতেন এহসানউল্লা। ধৃতের মা ফরিদা বেগম বলেছেন, 'আজ সকালেই শুনলাম। কিছু বুঝতে পারছি না। পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেছে। এর সঙ্গে জড়িত বলে মনে হচ্ছে না।' ধৃত এহসানউল্লার আত্মীয় কাজি ফাইজুল ইসলাম বলেছেন, 'কোন মাদ্রাসায় পড়ত, তা বলতে পারব না। গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসা করে, এটাই জানতাম।'


আব্দুর রাকিব সরকারের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহারের বিভিন্ন বেসরকারি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। ইদানীং ছিলেন কলকাতায়। ধৃতের বাবা রফিউদ্দিন সরকার বলেছেন, 'আমরা হতবাক। মানতে পারছি না। আমার ছেলে নম্র, ভদ্র। মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে। আমরা আইনি লড়াইয়ের পথে যাব।' পরিবার সূত্রে দাবি, রাকিব অল্প বয়েসেই গ্রাম ছাড়েন। লখনউয়ের এক মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। তারপর শুরু করেন বেসরকারি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা।  


পুলিশ সূত্রে খবর, আব্দুর রাকিব সরকারের নামে গঙ্গারামপুর থানায় অশান্তিতে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে ২টি মামলা রয়েছে। 


আরও পড়ুন- শুভেন্দু, সেলিম সহ ১৭ বিরোধী নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে মামলা