বহরমপুর: সিপিএমের (CPM) ডাকে 'চোর ধরো, জেল ভরো' কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত বহরমপুর (Berhampore) । এদিন মিছিল শুরু হয় এফইউসি ময়দান থেকে, শেষ হয় টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে। নেতৃত্ব দেন সিপিএমের রাজ্য় সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Selim)। সেখান থেকেই বললেন, 'মমতার (mamata banerjee) শরণে গেলে তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা হবে এইটা ভেবেই রাজ্যের চোর-জোচ্চোরা তাঁর শরনে গিয়েছিল। কিন্তু এখন দিদিকে কে বাঁচায়, সেটা দেখো!'


কী হল?
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরে অনুব্রত মণ্ডল। বিধায়ক ও হেভিওয়েট নেতা মিলিয়ে দলের দুই সদস্যের গ্রেফতারির পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে সিপিএম, তৃণমূল ও বিজেপি। এদিন বহরমপুরে সিপিএমের মিছিলে রাজ্য সম্পাদকের কথাতেও সেই ঝাঁঝই স্পষ্ট ধরা পড়ল। বললেন, 'এরা সব চোর-জোচ্চরই একে অন্যের পাশাপাশি। অনুব্রতর পাশে মমতা, মমতার পাশে অমিত শাহ, শাহের পাশে শুভেন্দু। এই সব চোরকে মানুষ চিনে নিয়েছে। মানুষ খেপলে কেউ পার পাবে না।  কে কার পাশে আছে দেখবে না।'


পার্থ ও অনুব্রত প্রসঙ্গ...
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। সঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আরও জানায়, প্রয়াত স্ত্রীর নামে তৈরি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির মোটা অঙ্কের টাকা ঢুকেছে বলে মনে সন্দেহ করছে তারা। এভাবেই কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। ওই স্কুলের অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। অন্য দিকে, এদিনই অনুব্রত মণ্ডলের কন্যার হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়। টেট সার্টিফিকেট পেশ করার নির্দেশও প্রত্যাহার করলেন বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায়। পরে এবিপি আনন্দকে অনুব্রত জানান, তাঁর মেয়ের টেট পাসের সার্টিফিকেট রয়েছে। তবে দুই হেভিওয়েট নেতার গ্রেফতারির পর মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখার উপর জোর দিলে মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, তিনি বলেছেন, ‘কাজের জায়গা ভাগ করে দেওয়া হবে প্রতিমন্ত্রীদের, পূর্ণ মন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীদেরও কাজ নির্দিষ্ট করবে সরকার’। পাশাপাশি কোনও ফাইল এলে ভাল করে খতিয়ে দেখার নির্দেশও দেন তিনি।


আরও পড়ুন:পাইলট কার, লাল বাতি ব্যবহারে নিষেধ, ক্লিন ইমেজ বজা রাখতে মন্ত্রীদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর