সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজিরা বির্তক নিয়ে দিল্লিতে মামলা স্থানান্তর না করার ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। ক্যাটের কলকাতা বেঞ্চেই শুনানি হবে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। খারিজ হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই মামলায় নির্দেশদানের এক্তিয়ার নেই কলকাতা হাইকোর্টের। ভৌগোলিক এলাকার ভিত্তিতে এই এক্তিয়ার নেই। এ ব্যাপারে আলাপন এক্তিয়ারভূক্ত হাইকোর্টে আবেদন জানাতে পারবেন বলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ, ক্যাটের প্রিন্সিপাল বেঞ্চের নির্দেশকে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন আলাপন।
হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছিল কেন্দ্র।
এর আগে এই মামলা কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরের নির্দেশিকা খারিজ হয় হাইকোর্টে। জানানো হয়েছিল, শুনানি হবে কলকাতা বেঞ্চেই।
কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে হাজিরা-বিতর্ক নিয়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়, রাজ্যের তত্কালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অনুসন্ধান প্রক্রিয়া শুরু করে কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রক। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ক্যাটের কলকাতা বেঞ্চে মামলা করেন আলাপন। এই মামলা কলকাতা বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দিল্লিতে প্রিন্সিপাল বেঞ্চে নিয়ে যাওয়ার জন্য দিল্লিতে পাল্টা মামলা করে কেন্দ্র।২২ অক্টোবর কেন্দ্রের এই আবেদনে সম্মতি জানায় প্রিন্সিপাল বেঞ্চ। পাল্টা সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবং দ্রুত শুনানির আবেদন করে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ।বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য কলকাতা থেকে দিল্লিতে মামলা স্থানান্তরের জন্য, ক্যাটের প্রিন্সিপাল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দেন। এর আগে এই মামলায় কেন্দ্রের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে, দিল্লিতে মামলা সরাতে কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ মন্ত্রকের এত তাড়াহুড়ো কীসের? পরের দিন কলকাতা থেকে দিল্লিতে মামলা সরানোর নির্দেশিকা খারিজ হয়ে গিয়েছিল।