কলকাতা : অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে অনড় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসের পড়ুয়ারা। ২৭ মে অফলাইন পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, অফলাইন পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ১৫ দিন সময় দিতে হবে। না হলে পরীক্ষা বয়কট করবে বলে জানিয়েছে বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, যে সমস্ত শিক্ষক অফলাইন পরীক্ষা নিতে চাইছেন, তাঁরাই একসময় ছাত্রনেতা আনিস খানের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছেন। এনিয়ে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে দিনকয়েক আগেই উত্তাল হয়ে ওঠে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ২৪ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হন উপাচার্য ও কয়েকজন অধ্যাপক। বৃহস্পতিবার মিছিল করে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসে যান পড়ুয়ারা। শুরু হয় বিক্ষোভ। কেউ কেউ শুয়ে পড়েও বিক্ষোভ দেখান।


বুধবার দুপুর থেকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কয়েকজনক অধ্যাপককে ঘেরাও করে রাখেন পডুয়ারা। বৃহস্পতিবার তাঁরা ঘেরাওমুক্ত হন। পড়ুয়াদের অভিযোগ, ঘেরাওমুক্ত করার সময় তাঁদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন অধ্যাপক, কর্মীরা।  


এদিকে অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে মঙ্গলবার পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে তাণ্ডব হয়েছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। একই দাবিতে জেলায় জেলায় পড়ুয়াদের বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। পড়ুয়া বিক্ষোভের মুখেও রবীন্দ্র ভারতীর উপাচার্য জানিয়েছেন, তাঁরা পরীক্ষা নেবেন অফলাইনে। 


মঙ্গলবারই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর জানিয়ে দিয়েছে, স্নাতক, স্নাতকোত্তরে পরীক্ষা অফলাইন না অনলাইনে হবে, সেই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে নিতে হবে। উল্লেখ্য, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যের সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অধীনে।


অন্যদিকে, অনলাইনে পরীক্ষা দাবিতে বিক্ষোভ হয় বোলপুরের পূর্ণীদেবী কলেজে । রাস্তার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পর প্রিন্সিপালের দপ্তরের বাইরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখানো হয় । দরজায় ধাক্কা ধাক্কি উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয় । ঘেরাও করে রাখা হয় প্রিন্সিপালসহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের । অভিযোগ বোলপুরের পূর্ণীদেবি মহিলা কলেজে অনলাইনে পরীক্ষা দাবিতে বিক্ষোভ হয় । অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে পড়িয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনেক শিক্ষক শিক্ষিকার মুখই তাঁরা দেখেননি । এই অবস্থায় তারা কোনওভাবেই অফলাইনে পরীক্ষা দিতে পারবেন না,  দাবি নিয়ে কার্যত দফায় দফায় বিক্ষোভ । কলেজের গেটের বাইরে রাস্তা অবরোধ করে প্রথমে এক দফা বিক্ষোভ দেখান, এরপর প্রিন্সিপালের দপ্তরের দরজার সামনে ধাক্কাধাক্কি করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে । যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগের একটা স্মারকলিপি পেয়েছি । বিষয়টি  উপরমহলে জানানো হয়েছে। বৈঠক হওয়ার পর আমাদের সিদ্ধান্ত হবে ।