অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে বাইসনের গুতোয় মৃত্যু হল এক মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে কালচিনি ব্লকের উত্তর মেন্দাবাড়ি এলাকায়। রবিবার সকালে এলাকার বাসিন্দা ৫৫ বর্ষীয় রিমিলা হাজারি প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিল। বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে আচমকাই চিলাপাতা  জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে আসা একটি বাইসন তার উপর আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। মহিলা মাটিতে পড়ে গেলে বারবার শিঙের গুতোয় তাঁকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রিমিলা হাজারির। পরিবারের সদস্যরা ও বনকর্মীরা রিমিলা হাজারিকে উদ্ধার করে লতাবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। অপরদিকে বাইসনটি ফের জঙ্গলে ফিরে যায় বলে জানা যায়।


রাজ্যে ফের শিশু মৃত্যু:  আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। বিভিন্ন হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও অ্য়াডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের মৃত্য়ু মিছিল। অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যেই ৪ শিশুর মৃত্যু হল বি সি রায় হাসপাতালে। বনগাঁর বাসিন্দা, ৭মাসের বছরের এক শিশুকে জ্বর-শ্বাসকষ্ট হওয়ায়, প্রথমে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওই শিশুকে বি সি রায় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রাখা হয় আইসিইউতে এরপর শনিবার সব শেষ। ডেথসার্টিফিকেটে উল্লেখ রয়েছে সিভিয়ার নিউমোনিয়ার। দত্তপুকুরের বাসিন্দা দেড়বছরের শিশুর জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায়, বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার তার মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, শনিবারই শিশুর ছুটি হয়ে যাওয়ার কথা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপর কীভাবে শিশুর মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবার।নিউমোনিয়ার উল্লেখ রয়েছে ডেথ সার্টিফিকেটে।দক্ষিণশ্বের বাসিন্দা, ৬মাসের এক শিশুরও রবিবার বিসি রায় হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তাকে জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে সোমবার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডেথ সার্টিফিকেটে অ্যাডিনো ভাইরাল নিউমোনিয়ার উল্লেখ রয়েছে। হাড়োয়ার বাসিন্দা, ১বছর ২ মাসের শিশু  জ্বর শ্বাস কষ্ট নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার দুপুরে তারও মৃত্যু হয়েছে।


বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে ২ মাসে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪১ জন শিশুর। আর এই শিশু মৃত্যু নিয়ে চড়ছে রাজনীতির পারদ। এই প্রেক্ষাপটে অ্যাডিনো-মোকাবিলায় রবিবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে টাস্ক ফোর্স। বিভিন্ন হাসপাতালে কতজন শিশু ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে কতজন অ্যাডিনো আক্রান্ত। পরিকাঠামোর কোনও খামতি রয়েছে কি না। বেডের জন্য অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন কি না। কীভাবে হাসপাতাল পরিদর্শন করা হবে। এসব নিয়েই মূলত আলোচনা করেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।