অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: পুরকর্মীদের নামে টাকা ঢুকছে ব্যাঙ্কে, কিন্তু যাঁদের নামে টাকা, সেই নামে কোনও কর্মীই নেই পুরসভায় (municipality)। এমনই অভিযোগ উঠল আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। কাঠগড়ায় তৃণমূল (TMC) পরিচালিত আলিপুরদুয়ার পুরসভা। অভিযোগ, পুরকর্মীদের একাংশ এই ঘটনায় জড়িত। এই অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।


কী অভিযোগ?
কাজ না করেও, পুরসভার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকছে বলে অভিযোগ। ভুয়ো কর্মীদের নাম করে অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। আলিপুরদুয়ারের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অলক রায়ের অভিযোগ, পুরকর্মীদের একাংশের মদতে চলছে দুর্নীতি। ভুয়ো অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর তা সরিয়েও নেন অভিযুক্তরা। তিনি বলেন, 'যাঁরা কাজই করেন না তাঁদের অ্যাকাউন্টে ২০১৯-এর মার্চ থেকে টাকা ঢুকছে। একজনের ৮৯ হাজার টাকা ঢুকেছে। পুরসভা কিছু না করলে এফআইআর করব।' ৯ নম্বর ওয়ার্ডেরই এক বাসিন্দা মেনে নিয়েছেন যে তাঁর স্বামী পুরসভায় কাজ করেন, বেতন ঢোকে চারটি অ্যাকাউন্টে। ওই বাসিন্দা যোগমায়া শর্মা সাহা বলেন, 'আমার স্বামী পুরসভায় কাজ করে। ২০০ টাকা হাজিরায়। আমাদের বলা হয় কাজ করতে চাইলে চারজনের অ্যাকাউন্ট লাগবে। ২০১৮ থেকে পাই। বলেছিল কাজ করলে চারটে অ্যাকাউন্ট লাগবে।'


শুরু তরজা:
এই অভিযোগ ঘিরে তরজায় জড়িয়েছে বিজেপি (BJP) ও তৃণমূল। তৃণমূলের মদতে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল, 'দীর্ঘদিন ধরে পুরসভা দুর্নীতিতে ডুবে গেছে। রহস্যজনকভাবে টাকা জমা পড়েছে, সেই টাকা কোনও এক কর্মীর কাছে দিয়ে আসা হচ্ছে। বোর্ড তদন্ত করুক।' অভিযোগের কথা মেনে নিলেও আলিপুরদুয়ার পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ কর বলেন, 'আধিকারিকদের বলেছি তদন্ত করতে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারব না। বিষয়টি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।' চলতি সপ্তাহে জেলা সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই কিছুক্ষণ পরে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে চলে আসায় কার্যত অস্বস্তিতে তৃণমূল পরিচালিত আলিপুরদুয়ার পুরসভা। 


আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট ঘিরে উত্তপ্ত বেলডাঙা, চলছে রাজনৈতিক তরজা