অরিন্দম সেন, হাসিমারা: আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁও থানার এএসআই-এর রহস্যমৃত্যু। নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর হাসিমারা থেকে উদ্ধার বাইক-সহ দেহ। মৃতের নাম রতন কর। বাড়ি কোচবিহারের ব্যাঙচাতরা রোডে।


পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বাড়ি এসেছিলেন জয়গাঁও থানার এএসআই। বুধবার থানা থেকে বাইকে চড়ে হাসিমারা চেকপোস্টে ডিউটিতে যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। আজ সকালে হাসিমারার বিচ চা বাগান সংলগ্ন এশিয়ান হাইওয়ের ধারে ঝোপের মধ্যে এই পুলিশ আধিকারিকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে যান আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে।


জয়গাঁও থানার এএসআই-এর মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃত পুলিশ আধিকারিকের পরিবার।


কিছুদিন আগেই আলিপুরদুয়ারে অন্য একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। স্কুলে যাওয়ার সময় বাড়ির মধ্যে খুন হয় ফালাকাটার স্কুল ছাত্রী। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। এই নৃশংস ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।


স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুল বের হওয়ার জন্য তৈর হচ্ছিল ফালাকাটার পারঙ্গেরপাড় শিশু কল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযোগ, ওই সময় বাড়িতে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত প্রতিবেশী। মেয়েটিকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ দেয় অভিযুক্ত। শরীর থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ওই ছাত্রীর মাথা। রক্তাক্ত অবস্থায় উঠোনে লুটিয়ে পড়ে সে।


কিন্তু, কেন এই প্রাণঘাতী হামলা? মৃতের পরিবারের দাবি, স্কুলছাত্রীকে বারবার প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল অভিযুক্ত। প্রত্যাখ্যান করায় খুন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে ভাঙচুর চালান।


অভিযুক্তকে আটক করেছে ফালাকাটা থানার পুলিশ। রুজু হয়েছে খুনের মামলা। 


এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে জেরা করা হচ্ছে। মৃত ছাত্রীর পরিবার অভিযুক্ত প্রতিবেশীর কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব। স্থানীয় বাসিন্দারাও অভিযুক্ত ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।