কলকাতা: স্বাস্থ্যকর ডায়েট শুধুমাত্র ফুসফুসকেই (Lung Health) সুস্থ রাখে না, সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের জন্যই প্রয়োজনীয়। তাই শুধু ফুসফুসের সুস্থতার জন্যই নয়, সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস খুব জরুরি। তবে, ফুসফুস সুস্থ রাখার জন্য সবার প্রথমে ধূমপান ত্যাগ করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার রোজকার তালিকায় রাখলে ফুসফুস সুস্থ থাকবে।


১. বেরিতে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান রয়েছে। ব্লু বেরি, স্ট্রবেরিতে পাওয়া যায় ফ্ল্যাভনয়েড, যা ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এগুলিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্টস ফুলফুস সচল রাখতে সাহায্য করে। বয়সজনীত কারণে ফুসফুসে যে সমস্যাগুলি দেখা দেয়, সেগুলি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে বেরি।


২. খাবারে অত্যধিক মাত্রায় নুনের ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অত্যধিক মাত্রায় নুন খাবারে ব্যবহার করলে তা থেকে হাঁপানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও প্যাকেটজাত খাবারের পরিবর্তে বাড়ি রান্না করা টাটকা খাবার খেলেই স্বাস্থ্য সঠিক থাকে। প্যাকেটজাত খাবারে যে নুন বা উপাদান ব্যবহার করা হয়, তা শুধু ফুসফুসেরই নয়, সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।


আরও পড়ুন - Health Tips: রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কীভাবে রসুন খাবেন?


৩. স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সবুজ শাক-সব্জির উপকারিতার শেষ নেই। সবুজ শাক সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটেনয়েডস থাকে। যা ফুসফুসে ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক সব্জি রাখা খুবই জরুরি। পালং শাক, মেথি শাক প্রভৃতি শাক এবং মরসুমি সব্জি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখলে উপকার পাওয়া যায়।


৪. লাল ক্যাপসিকাম, টমেটোতে প্রচুর লাইকোপেন থাকে। এই লাইকোপেন এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। যা ফুসফুস সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। টমেটোর রস ফুসফুসের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।


৫. কয়েকদিন আগেই বিশেষজ্ঞরা তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন যে, অত্যধিক মাত্রায় কফি খেলে তা স্মৃতিভ্রংশ বা অ্যালজাইমার্সের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কফি ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি। কফিতে থাকা উপকারী উপাদান ফুসফুস সচল রাখতে সাহায্য করে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।