আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বক্সার জঙ্গলের (Buxa Forest) ভিতরে বাঘের (Tiger) আরও পায়ের ছাপ (footprints )। বাঘের থাবার ছাপের পাশে পড়ে থাকা পেন ঘিরে রহস্য। একই বাঘের পায়ের ছাপ, নাকি আরও বাঘ রয়েছে, তা জানতে পায়ের ছাপ পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। নদীর পাড়ে বাঘের আরও পায়ের ছাপ মেলে বলে জানা গেছে। বক্সার জঙ্গলে বাঘের খোঁজে ড্রোন দিয়ে তল্লাশি চলছে। ট্রাঙ্কুলাইজার নিয়ে বক্সার জঙ্গলে বনকর্মীরা। তাঁরা বাঘের খোঁজ চালাচ্ছেন। ড্রোন ক্যামেরার ব্যবহার করা হচ্ছে। এভাবে বাঘের অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে। সুরক্ষার জন্য আপাতত বন্ধই থাকছে জঙ্গল সাফারি।
প্রাক্তন বনবিভাগের আধিকারিকরা মনে করছেন, পায়ের ছাপ একটি বাঘের। কারণ, বাঘ তার এলাকায় ঘোরাফেরা করে। তবে বাঘিনী থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তাঁরা।
উল্লেখ্য, প্রায় ২ যুগ পর বক্সায় রয়্যাল বেঙ্গলের দেখা মিলেছে। এরপরই বাঘের উপযুক্ত বাসস্থান তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর। জঙ্গল সংলগ্ন এলাকা থেকে ২৩৪টি পরিবারকে অন্যত্র সরানোর ভাবনাচিন্তা চলছে। বাঘের হাত ধরে এলাকায় গড়ে উঠবে পর্যটন ব্যবসা। সেই আশাতেই বাসস্থান পরিবর্তনে রাজি স্থানীয় বাসিন্দারা। বক্সার জঙ্গলের আশেপাশে ১৫টি গ্রামে বহু মানুষের বসবাস। সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য এলাকা ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
গত শুক্রবার একরাতে পর পর দু’বার বন দফতরের পাতা ক্যামেরা ট্র্যাপে দেখা দিয়েছে বাঘ।২৩ বছর পর আলিপুরদুয়ারে বক্সার জঙ্গলে নিজের অস্তিত্বের জানান দেন বাঘমামা। ছবি পেলেও এখনও পর্যন্ত, বাঘটির অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি বন দফতর।শুক্রবার রাতে ক্যামেরা ট্র্যাপে ধরা পড়া দু’টি ছবি একই বাঘের কি না তা জানার চেষ্টাও চালাচ্ছে বনদফতর।
এই পরিস্থিতিতে বক্সার জঙ্গল সংলগ্ন বস্তির বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বন দফতর। তাঁদের অন্যত্র সরানোরও ভাবনা-চিন্তা চলছে।প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পম্পা বস্তিতেই থাকেন শ্যাম, অ্যালবার্টদের মতো আরও অনেক পরিবার। বছর পাঁচেক আগে একবার প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। বাঘের দেখা মেলায় তাঁদের অন্যত্র সরানোর ভাবনা-চিন্তা চলছে বলে, ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন। তাঁরা বলছেন, নায্য আর্থিক সাহায্য বা পুনর্বাসন পেলে, সরে যেতে আপত্তি নেই।