অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: রাতের রাস্তায় চিকিৎসককে (Doctor) নিগ্রহের অভিযোগ। গাড়ি আটকে, গাড়ি থেকে নামিয়ে কটূক্তি এবং মারধরের অভিযোগ চিকিৎসক ও তাঁর সঙ্গীদের। গোটা ঘটনায় চিকিৎসকের নিশানায় আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বিডিও। এমন একটি অভিযোগে বিডিওর নাম জড়ানোয় প্রবল চাঞ্চল্য় জেলা প্রশাসনের অন্দরে। মারধরে গুরুতর জখম হয়েছেন ওই চিকিৎসক। তাঁর পাঁজরের দুটি হাড় ভেঙে গিয়েছে বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে আলিপুরদুয়ার শহরের ঢোকার মুখে দমনপুর চেক পোস্টের ঘটনা। ওই ঘটনায় চিকিৎসকদের মাধ্যমে আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত চিকিৎসক। জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়েছে আইএমএ-এর জেলা সংগঠন। যদিও বিডিওর দাবি, ওই গাড়িতে সকলে অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় ছিলেন।
কী অভিযোগ:
রবিবার রাতে সাড়ে দশটা নাগাদ রুগী দেখে কালচিনি (Kalchini) থেকে বাড়ি ফিরছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের ইএনটি বিশেষজ্ঞ সুবীর দাস। নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিন জন। আলিপুরদুয়ার শহরে ঢোকার আগে পড়ে দমনপুর চেকপোস্ট। সেখানে একটি গাড়ি তাঁদের গাড়ির পথ আটকায় বলে দাবি চিকিৎসকের। ওই গাড়িটি থেকে নেমে আসেন পুলিশের (Police) উর্দি পরা এক ব্যক্তি এবং সাদা পোশাকের এক ব্যক্তি। তাঁরা চিকিৎসকের গাড়ির কাছে এসে নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেন। গাড়ির কাগজও দেখতে চান বলে অভিযোগ। পাল্টা তাঁদের পরিচয় জানতে চান চিকিৎসক সুবীর দাস। তখনই ওই দুজন পাল্টা তাঁদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। একজন নিজেকে বিডিও বলে পরিচয় দেন বলেও অভিযোগ। জামার কলার ধরে মারধর শুরু করা হয় বলে অভিযোগ চিকিৎসকের। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ করা হয়েছে। তারপরেই নাকি অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই চিকিৎসক। সেই সময় তাঁদের ফেলে অভিযুক্তরা চলে যান বলে দাবি। পরে পুলিশের টহলদারি দল তাঁদের উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক সূত্রে খবর, আক্রান্ত ডাক্তারের বুকের ডানদিকের পাঁজরের দুটি হাড় ভেঙেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত রয়েছে। এখন তিনি জেলা হাসপাতালের সিসিইউ (CCU)-তে চিকিৎসাধীন।
কী বলছেন বিডিও:
চিকিৎসকদের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন। তিনি বলেন, গাড়ি থামানো হয়েছিল। কারণ গাড়িতে চিকিৎসক ও তাঁর সঙ্গীদের 'অস্বাভাবিক' অবস্থায় দেখা যায়। সেই কারণেই সাহায্যের জন্য দাঁড়ানো হয়েছিল। তারপরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কোনওভাবেই মারধর করা হয়নি বলে তাঁর দাবি।
এই মধ্যেই অভিযোগকারীদের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
আরও পড়ুন: উনুন ধরানো নিয়ে অশান্তি, ছেলের হাতে খুন বাবা, স্তম্ভিত তমলুক