অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: গভীর জঙ্গলে কাদায় আটকে আর্তনাদ গন্ডার শাবকের। নেই নড়াচড়া করার মত ক্ষমতাও। এদিকে ওই শাবকের ওজন প্রায় ৭০০ কেজি। তাহলে উপায় ?  কীভাবে জলাভূমি থেকে উদ্ধার করা হবে ? কাদার মধ্যে গাড়ি নেওয়াও প্রায় অসম্ভব। এমনই সময় খবর পেয়ে বুদ্ধি খাঁটিয়ে চ্যালেঞ্জ জিতলেন বনকর্মীরা। বাঁশের মাচায় উদ্ধার জখম  গন্ডার শাবক। চিকিৎসায় সাড়া মেলায় স্বস্তিতে জলদাপাড়া বন দফতর।


জানা গিয়েছে, গত ১৫ অগাষ্ট জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত উত্তর-জলদাপাড়া রেঞ্জের জঙ্গলে আহত গণ্ডার শাবকের সন্ধান পায় বন কর্মীরা। গভীর জঙ্গলে জলাভূমির কাদায় আটকে পড়েছিল শাবকটি। নড়াচড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল। এমন খবরে বনকর্মীরা শুরু করে উদ্ধার কাজ। অবশেষে জখম শাবক গণ্ডার উদ্ধারে সফল হন বনকর্মীরা।


জানা যায়, কঠিন লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হয় কর্মীদের। কারণ, জলাভূমির এই অংশে ৪ চাকার গাড়ি নেওয়া ছিল অসম্ভব ব্যাপার। অথচ প্রায় ৭০০ কেজি ওজনের শাবকটিকে বয়ে আনতে হবে চিকিৎসার কারণে। এমন পরিস্থিতিতে জলাভূমি থেকে উদ্ধার করাও ছিল চ্যালেঞ্জের। কিন্তু জলদাপাড়ার বন কর্মীরা সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে।


প্রায় ২২ জন বনকর্মী বাঁশের মাচা বানিয়ে তাতে বহন করে নিয়ে যায় প্রায় আড়াই কিমি পথ। তারপর নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে শাবকটিকে খাচাবন্দি করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। বন দফতর সূত্রে খবর, প্রাণী চিকিৎসকের ধারণা প্রাপ্ত বয়ষ্ক  গন্ডারের দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল শাবকটি। যদিও শরীরের বাইরের অংশে আঘাত নেই বলে দাবি।


 তবে বর্তমানে চিকিৎসার পাশাপাশি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে শাবকটিকে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পারভীন কাসওয়ান জানান, 'কর্মীদের তৎপরতা এবং প্রচন্ড পরিশ্রমেই সম্ভব হয়েছে শাবকটিকে উদ্ধার করা। চার দিনের চিকিৎসায় অনেকটাই সাড়া দিচ্ছে। আশা করি, সুস্থ হতে পারবে ৩-৪ বছরের শাবকটি।'


আরও পড়ুন, রাত পেরোলেই বৃষ্টি ভাসতে চলেছে কলকাতা ? বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দুর্যোগের আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গে 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


বিস্তারিত আসছে..