অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মাদারিহাটে (Madarihat) চা বাগানের কাছে নদী চরে উদ্ধার হল চিতাবাঘের (Cheetah) মৃতদেহ।  প্রাথমিক তদন্তে বনকর্মীদের ধারণা, পিটিয়ে মারা হয়েছে চিতাবাঘটিকে। কোথায় পিটিয়ে মারা হয়েছে, তা জানতে স্নিফার ডগ (Sneefar Dog) নিয়ে এসে তল্লাশি চালানো হয়।


দিন তিনেক আগেই আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়ার জঙ্গলে উদ্ধার হয় একটি ভালুকের (Bear) ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। এবার মাদারিহাটের গ্যারগেন্দা চা বাগানের কাছে মৃতদেহ মিলল চিতাবাঘের। প্রাথমিকভাব বন দফতরের (Forest Department) সন্দেহ, পিটিয়ে মারা হয়েছে চিতাবাঘটিকে। বুধবার ভোরে স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় চিতাবাঘটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। মুখে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। 


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জলদাপাড়া জাতীয় উদানের লঙ্কাপাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। চিতাবাঘটিকে অন্য কোথাও মেরে তারপর নদীর চরে ফেলা হয়েছে কি না, তা দেখতে আনা হয় স্নিফার ডগ। চালানো হয় তল্লাশি। জলদাপাড়ার ডিএফও জানিয়েছেন, দেখে মনে হচ্ছে চিতাবাঘটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। বন দফতরের স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। ময়নাতদন্ত (Post Mortem) হলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। 


আরও পড়ুন- খুবলে তুলে নেওয়া হয়েছে পেটের মাংস, ভালুকের মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ারে


দিনকয়েক আগেই ভালুকের পচাগলা দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় আলিপুরদুয়ারে। দেহটি দিন তিনেকের পুরনো বলেই অনুমান বন দফতরের। পেটের কাছের বেশ কিছুটা অংশ খুবলে তুলে নেওয়া হয়েছিল। সেই অবস্থাতেই দেহটি উদ্ধার হয়। বন্য কোনও জন্তুর হামলাতেই ভালুকটির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে  করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।


রবিবার আলিপুরদুয়ারের অন্তর্গত দলগাঁও রেঞ্জ জঙ্গল থেকে ভালুকের (Black Bear Found Dead) দেহটি উদ্ধার হয়। সকালে বনদফতরের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের অধীনস্থ ১৯৭৯ প্ল্যান্টেশন এলাকায় টহল দেওয়ার সময় সেটি চোখে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় বন দফতরে। তাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অন্যান্য আধিকারিকরা। প্রাথমিক তদন্তের পর বন দফতর (Forest Department) জানিয়েছে, সেটি হিমালয়ান ব্ল্যাক প্রজাতির স্ত্রী ভালুকের দেহ (Himalayan Black Bear)। সম্ভবত দিন তিনেক আগে ভালুকটির মৃত্যু হয়। কোনও বন্য জন্তুই তার পেটের অংশ খুবলে খেয়েছে বলে মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।