অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: ভালুকের পচাগলা দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ারে। দেহটি দিন তিনেকের পুরনো বলেই অনুমান বন দফতরের। পেটের কাছের বেশ কিছুটা অংশ খুবলে তুলে নেওয়া হয়েছে। সেই অবস্থাতেই দেহটি উদ্ধার হয়। বন্য কোনও জন্তুর হামলাতেই ভালুকটির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে  করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। 


রবিবার আলিপুরদুয়ারের অন্তর্গত দলগাঁও রেঞ্জ জঙ্গল থেকে ভালুকের (Black Bear Found Dead) দেহটি উদ্ধার হয়। সকালে বনদফতরের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের অধীনস্থ ১৯৭৯ প্ল্যান্টেশন এলাকায় টহল দেওয়ার সময় সেটি চোখে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় বন দফতরে। তাতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অন্যান্য আধিকারিকরা। 
প্রাথমিক তদন্তের পর বন দফতর (Forest Department) জানিয়েছে, সেটি হিমালয়ান ব্ল্যাক প্রজাতির স্ত্রী ভালুকের দেহ (Himalayan Black Bear)। সম্ভবত দিন তিনেক আগে ভালুকটির মৃত্যু হয়। কোনও বন্য জন্তুই তার পেটের অংশ খুবলে খেয়েছে বলে মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। সোমবার দেহটির ময়নাতদন্ত হবে। তাতেই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস তাঁদের। 


বেশ কিছু দিন ধরেই ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় লুপ্তপ্রায় এই ভালুকের দেখা মিলতে শুরু করেছে। এর  মধ্যে গত ২৪ নভেম্বর মেটেলি চা বাগানে ভালুক দেখা যায়। কাছ থেকে তার ছবি তুলতে গিয়ে মৃত্যু হয় স্থানীয় এক পড়ুয়ার। তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীরা। লাঠিসোটা নিয়ে গিয়ে ভালুকটিকে তাঁরা পিটিয়ে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ। 


যদিও গ্রামবাসীদের দাবি ছিল, চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের উপর হামলার চেষ্টা করে ভালুকটি। ভয়ে শ্রমিকরা পালিয়ে গেলেও, এলাকায় খবর ছড়িয়ে পড়ে। তাতে ভালুক দেখতে ভিড় জমে যায়। সেই সম।য় এক স্কুল পড়ুয়ার উপর হামলা করে ভালুকটি। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। তাতেই ভালুকটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। 


এর পর গত ৩ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ফের ভালুকের দেখা মেলে। তবে অপ্রীতিকর কিছু ঘটার আগে তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে বন দফতর। তবে এ দিনের ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে এলাকায়। বন দফতরের ধারণা, সম্ভবত ভুটান থেকে ডুয়ার্সের জঙ্গলে ঢুকে পড়েছে হিমালয়ান ব্ল্যাক প্রজাতির ভালুক।