অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : পুজোর পরেই খোলার সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির। সেই লক্ষ্যেই এবার জেলায় প্রথম ছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হল আলিপুরদুয়ার মহিলা মহাবিদ্যালয়ে।


তৃতীয় ঢেউ ভয়ঙ্কর না হলে পুজোর পরেই খুলবে স্কুল। সম্প্রতি একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তৃতীয় ঢেউ ভয়ঙ্কর না হলে পুজোর পরে স্কুল খুলবে। মহারাষ্ট্র, কেরলের মতো কয়েক রাজ্যের পরিস্থিতি ভাল নয়। পরিস্থিতি ঠিক থাকলে পুজোর ছুটির পরেই খুলবে স্কুল।


‘তৃতীয় ঢেউ ভয়ঙ্কর না হলে পুজোর পরে খুলবে স্কুল’, বললেন মুখ্যমন্ত্রী


সেইমতো ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতরে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ খুললে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষিত রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। সেইমতোই শুক্রবার আলিপুরদুয়ার মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ৩০০ জন ছাত্রীকে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের এই টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় উচ্ছ্বসিত অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে ছাত্রীরা।


কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় বলেন, "দুর্গাপুজোর পর থেকে কলেজ খোলার নির্দেশ এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই ছাত্রীদের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতায় প্রথম ধাপে ৮২৪ জন ছাত্রীর মধ্যে আজ ৩০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।"


এদিকে গতকালও রাজ্যের ৭০০-র ঘরেই ছিল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, নতুন করে রাজ্যে সংক্রমিত হন ৭২৪ জন। এনিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫,৫৪, ৬৫২ জন। উল্লেখ্য, করোনা থেকে বাঁচতে একমাত্র পথ টিকাকরণ। মৃত্যু এড়াতে প্রথম ডোজে ভাকসিনের কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশের বেশি। দ্বিতীয় ডোজের কার্যকারিতা প্রায় ১০০ শতাংশ। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন কেন্দ্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল। পাশাপাশি করোনা সতর্কতা মেনে স্কুল খোলার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। তবে স্কুল খুলতে গেলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের টিকাকরণ বাধ্যতামূলক, পরামর্শ কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধানের।