আশাবুল হোসেন, কলকাতা: ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


দুপুর ২টো নাগাদ আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী ও প্রযোজক নিসপাল সিংহ রানে।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এদিন কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় আলিপুর সার্ভে বিল্ডিং চত্বর।


ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। কংগ্রেস প্রার্থী না দিলেও সিপিএম এই কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে। বামেদের প্রার্থী আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস। 


ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দামামা বেজে গেছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে ভোটগ্রহণ হবে বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর থেকেই ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘিরে ক্রমশ চড়ছে পারদ। 


এই কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রচারে কোনও কসুর রাখছে না তৃণমূল। হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের মাঠে নামিয়েছে তৃণমূল। 


কলকাতা পুরসভার আটটি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি হয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র। গত নির্বাচনে তার মধ্যে ৬টিতেই এগিয়েছিল তৃণমূল। বাকি দুটিতে লিড পায় বিজেপি। 


সার্বিক ফলে বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটে হারিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এর মধ্যে ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়েছিল সবচেয়ে বেশি ভোটে। আবার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে লিড ছিল বিজেপির। 


উপনির্বাচনে সেই দুটি ওয়ার্ড (৭৭, ৭৪)-সহ ৮২ নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ও ক্রীড়া ও যুবকল্যাণমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।


বিধানসভা ভোটে ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে ২ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার এই ওয়ার্ডের দায়িত্বে রাখা হয়েছে রাসবিহারীর বিধায়ক ও কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবাশিস কুমারকে। 


পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব। ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে দিদিকে জেতানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।