অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : নেই কোনও দূরত্ববিধি মানার বালাই। বহু মানুষের মুখে নেই মাস্কটুকুও। রাজ্য জুড়ে চলছে বিধিনিষেধ। কিন্তু যাবতীয় করোনাবিধি লঙ্ঘন করে সাড়ম্বরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিতর্ক খোদ রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেসের যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
সদ্যই রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশে আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির রদবদল হয়েছে। বেশ কিছু নতুন নেতৃত্বকে পদে দায়িত্বও দেওয়া হয়। তার মধ্যে জেলা সভাপতির পদও রয়েছে। জয়গাঁও ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয় গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে। যিনি নাকি আবার বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতিও ছিলেন। নির্বাচনের পরে দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। তাঁর পাশাপাশি এসজেডি-র চেয়ারম্যান পদে বসেন জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সৌরভ চক্রবর্তী।
আজ বিকালে আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে সম্বর্ধনার অনুষ্ঠান হয় সাহেবপোতা এলাকায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার নেতৃত্বরা। অনুষ্ঠানে নতুন জেলা সভাপতিকে বরণ করে মঞ্চে নিয়ে আসা হয়। জানা যাচ্ছে, নতুন জেলা সভাপতিকে বরণ করা হয় আদিবাসী নৃত্যের মাধ্যমে। সবমিলিয়ে প্রায় দশ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল শাসকদলের এই অনুষ্ঠানে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় সেখানেই। আরম্বরপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে প্রায় কারও মুখেই মাস্ক ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেই ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাড়ি করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত হন বলেও জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে এখন আমরা যাচ্ছি, তাতে যে কোনও সময়ে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। সেখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা থেকে জমায়েতে উপস্থিত থাকা মানুষের মুখে মাস্ক না থাকা করোনাবিধিকে লঙ্ঘন করেছে।
গোটা ঘটনা ঘিরে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। তাদের অভিযোগ, যেখানে সারা রাজ্য জুড়ে করোনা মোকাবিলায় কার্যত লকডাউন চলছে, সেখানে এমন সাড়ম্বরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করা, তার উপর দূরত্ববিধি না মানা থেকে জমায়েতে হাজির হওয়া মানুষের মুখে মাস্ক না থাকা, নিঃসন্দেহে অবিবেচকের মতো কাজ করেছে তৃণমূল। এমনই মত এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের।