কলকাতা: বাস্তবের বন্ধুত্বকেই ফুটিয়ে তুলতে হবে পর্দায়! সেটাই ছিল প্রথম আকর্ষণ। এ যেন প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে স্কুলের ক্লাস চলাকালীন খুনসুটির আনন্দ। আলাদা করে অভিনয় করার বোধহয় প্রয়োজনই হবে না। তারপর মৈনাক ভৌমিকের সঙ্গে কাজ.. রাজি হতে একটুও সময় নেননি ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়।


আগামী ৩ সেপ্টেম্বর 'হইচই'-তে মুক্তি পাচ্ছে নতুন ওয়েবসিরিজ 'বয়ফ্রেন্ডস অ্যান্ড গার্লফ্রেন্ডস'। তিন বন্ধুর সম্পর্ক, প্রেম সব গল্পই বলা হবে কমেডির মোড়কে। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, উজান চট্টোপাধ্যায়, ইশা সাহা, মধুরিমা ঘোষ ও অদৃজা রায়। গোটা শ্যুটিংটাই হয়েছে কলকাতায়। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন শুভঙ্কর পাল।


কেমন হল দুই প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে প্রথমবার বড় কাজ করার অভিজ্ঞতা? ঋতব্রত বলছেন, 'আমার প্রথম আনন্দ হয়েছিল কাস্টিংটা শুনে। ঋদ্ধি আমি আর উজান বহুদিনের বন্ধু। একসঙ্গে ছোটখাটো কাজ করলেন বড় কাজ করার সুযোগ হয়নি এর আগে। তার ওপর মৈনাকদা থাকছে। আমি এর আগেও ওঁর সঙ্গে কাজ করেছি। দারুণ বোঝাপড়া। আর ইশাদি (ইশা সাহা) ছিল। সেটে প্রচণ্ড মজা করেছি। সারাদিন মৈনাকদা আমাদের সঙ্গে খুনসুটি করত। ঋদ্ধিকে বলত, আমাদের সঙ্গে রয়েছে জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা.. আমায় বলত, বাংলা ছবির জগতের প্রতিভাবান উঠতি মুখ। আর উজানকে বলত বাংলা নাট্যজগতের অন্যতম শিল্পী। ইশাদি প্রত্যেকশা শট হয়ে যাওয়ার পর খুব টেনশান করত। মৈনাকদা সেটা নিয়ে খুব মজা করত। আর আমরা তিনজন যখনই একসঙ্গে বসতাম, কাজ নিয়ে প্রচুর কথা বলতাম, আলোচনা করতাম। পর্দায় যে মজাগুলো দেখানো হয়েছে, বাস্তবে সেগুলো আমাদের মধ্যেও চলে।'


সিরিজে কেবল বন্ধুত্ব নয়, রয়েছে প্রেমও। ব্যক্তিগত জীবনে কেমন করে বন্ধুত্ব আর প্রেম নিয়ে কী অভিজ্ঞতা ঋতব্রতর? হাসতে হাসতে অভিনেতা বললেন, 'আমি আর ঋদ্ধি ফোন করে আমাদের সমস্ত সমস্যা, সম্পর্ক সবকিছু ভাগ করে নিতাম। এখনও নিই। প্রথম প্রথম যখন ঋদ্ধি আর সুরঙ্গনা প্রেম করত, আমি নিউজ চ্যানেলের মত আপডেট পেতাম। কখন ওরা কথা বলছে, কোথায় ডেটে যাচ্ছে সবকিছু জানতাম। এই ছবির গল্পটাও ঠিক আমাদের জীবনেরই মত। কলেজের পর ৩ জন বন্ধু যে যার কাজে ব্য়স্ত। আর তার মধ্যেই ব্যক্তিগত সম্পর্ক আর বন্ধুত্বের বুনোটে জমে উঠবে বয়ফ্রেন্ডস অ্যান্ড গার্লফ্রেন্ডেসের গল্প।'


আর ঋতব্রতর প্রেম? হাসতে হাসতে অভিনেতার উত্তর, 'আমার প্রথম ক্রাশ এমা ওয়াটসন। এখনও ওর ছবিই আমার ফোনের ওয়ালপেপার। আর হ্যাঁ, 'কহানি'-তে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যা বালনকে প্রথম সামনে থেকে দেখি। ভীষণ ভালো লেগেছিল ওনাকে।'