অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : জালনোট কারবারের যেন শেষ নেই ! এবার ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার জালনোট-সহ এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার করা হল। আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানার মাঝেরডাবড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়।


পুলিশ সূত্রে খবর, খবর পেয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ শামুকতলা থানার অন্তর্গত মাঝেরডাবড়ি চৌপথি এলাকায় পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃত ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী শামুকতলা থানার পানিয়ালগুড়ির বাসিন্দা ব্রজেন শীল।


পুলিশের দাবি, তাঁর ব্যাগের আলাদা দু'টি খাপ থেকে উদ্ধার হয়েছে টাকা। একটিতে ছিল ৫০০ টাকার ২৬৬টি নোট। অপরটিতে ছিল ৫০০ টাকার নোটে ৫ লক্ষ টাকা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, ৫০০ টাকার ২৬৬টি নোট যার পরিমাণ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা, তা সম্পূর্ণই জাল। বাকিগুলিও সন্দেহের তালিকায় রয়েছে। ফলে টাকাগুলি বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার জন্য পাঠানো হচ্ছে শালবনিতে। 


এই টাকার উৎস কী এবং কোথায় কার কাছে কী উদ্দেশ্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল এবং এর সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক চক্র রয়েছে কি না সবই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি মোবাইলেও সূত্র পাওয়া যায় কি না দেখা হচ্ছে।


অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও পুরোনো মামলা পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে। তবুও সূত্রের সন্ধানে, ঘটনার বিবরণ জানিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা এবং রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় ।


এবছর ফেব্রুয়ারি মাস জালনোট-সহ গ্রেফতার করা হয় এক ব্যক্তিকে। উদ্ধার করা হয় ১০ হাজার ৫০০ টাকার জালনোট। খবর পেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার পুলিশ রথতলা এলাকা থেকে জালনোট-সহ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম রঞ্জিৎ পাত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাট থানা এলাকার বাসিন্দা। উল্লেখ্য, জালনোট নিয়ে বার বার হইচই হয়েছে রাজ্যে।


কয়েক মাস আগে জালনোটের পাহাড় মেলে উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটিতে! ২৪ লক্ষ টাকারও বেশি জালনোট উদ্ধার হয়। উত্তর ২৪ পরগনার বিরাটিতে NH34-এর উপর থেকে ২৪ লক্ষ ২১ হাজার টাকার জালনোটের হদিশ পাওয়া যায়। এক ব্যক্তিকে ধরা হয়। বিরাটিতে শুল্ক দফতরের অভিযানে এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার হয়। ব্যাগ ভর্তি ৫০০ টাকা ও ২ হাজার টাকার জালনোট মেলে। বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে জালনোটের কারবার বলে সন্দেহ শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের। এই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।