অরিন্দম সেন, জয়গাঁও : রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে সেজে উঠছে অযোধ্যা। দেশজুড়ে উৎসবের আবহ। সেই অযোধ্যা থেকে পাঠানো কলস এবার এল জয়গাঁওয়ে। আজই পৌঁছেছে কলস। বিকেল সাড়ে ৩টের দিকে জয়গাঁওয়ের মঙ্গলাবাড়ি শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির কমপ্লেক্সে পৌঁছায় এটি। জয়গাঁও হিন্দু জাগরণ সমিতি এই কলসকে রথে রেখে জয়গাঁও শহর প্রদক্ষিণ করে। সমিতির তরফে জানানো হয়, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান হবে। সেখানে যাওয়ার আমন্ত্রণ হিসাবে এই অক্ষত কলসটি আজ জয়গাঁও পৌঁছেছে। এই কলসকে রথে রাখার পর হাজার হাজার ভক্ত মঙ্গলাবাড়ি থেকে কলস যাত্রা বের করেন যা গোপীমোহন, দরগাঁও, সুপার মার্কেট, এমজি রোড, লিংক রোড হয়ে ভুটান গেট হয়ে এনএস রোডে এসে পৌঁছায়। এমজি রোড হয়ে ফিরে, হনুমান মন্দির ধর্মশালায় তা স্থাপন করা হয়েছে।


এই স্থানে ৪দিন ধরে পুজো করা হবে কলসকে। যেখান থেকে এই কলস জয়গাঁর সমস্ত সনাতন মানুষের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সমিতির তরফে জানানো হয়, জয়গাঁওয়ের পুণ্যভূমিতে ২২ জানুয়ারি জমকালো অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে।


আগামী ২২ জানুয়ারি সিংহাসনে ফেরানো হবে রামলালাকে। অযোধ্যা বাবরি মসজিদ মামলার পর একটি মঞ্চে শ্রীরামের শিশু রূপের পুজো হচ্ছিল। এবার রাম মন্দিরে রাম লালার নতুন মূর্তি স্থাপন করা হবে। বলা হচ্ছে যে, নতুন এই মূর্তিটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে অনন্য মূর্তি। 


ফৈজাবাদ, যা এখন অযোধ্যা অত্যন্ত পুরনো শহর। এখানকার প্রতিটি রাস্তা, গলিঘুঁজি, বাড়িঘর থেকে সরযূর ঘাট - প্রাচীন এই সবকিছুর মধ্যেই অন্তর্নিহিত ইতিহাস আর আবেগের বারুদ। অযোধ্যায় নতুন ঘাট থেকে লতা মঙ্গেশকর চক হয়ে নবনির্মিত রামমন্দির পর্যন্ত রাস্তার দু'ধারে, সমস্ত কিছুর ওপরেই পড়ছে আধুনিকতার প্রলেপ। অনেকেই বলছেন, রামমন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের সঙ্গে সঙ্গে একটি অধ্যায়ের বৃত্তপূরণ হতে চলেছে। যার আগাগোড়া বিতর্ক আর রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে ভরা। প্রায় ৫০০ বছর আগে, ১৫২৮ খ্রিষ্টাব্দে রাজপুতদের যুদ্ধে হারানোর পরে, মুঘল সেনাবাহিনীর কম্যান্ডার মীর বারকির উদ্যোগে নির্মিত হয় বাবরি মসজিদ। আর ৫ শতাব্দী পরে, সেই জায়গাতেই মাথা তুলেছে সুদৃশ্য রামমন্দির। সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার পর ৪ বছর পার হয়েছে। আর কয়েক দিন বাদেই সুবিশাল মন্দিরের উদ্বোধন। ওই দিন অযোধ্যায় লাখ লাখ ভক্তের সমাগম হতে পারে। শহরের কোনও হোটেল আর খালি নেই।