টোকিও: ফের পর পর তীব্র ভূমিকম্প জাপানে। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কুরলি দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় পর পর দু'বার তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৫ এবং ৫.০। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে-র (USGS) তরফে জানানো হয়েছে, এদিন দুপুর ২টো বেজে ৪৫ মিনিটে প্রথম বার তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। প্রথমে ৬.৫ তীব্রতায় কেঁপে ওঠে ওই এলাকা। তার পর, দুপুর ৩টে বেজে ৭ মিনিটে আবারও কেঁপে ওঠে মাটি। সেই সময় রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৫.০। (Japan Earthquake)
এই নিয়ে পর পর, বেশ কয়েক বার, মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে কেঁপে উঠল জাপান
USGS জানিয়েছে, এবারে প্রথম কম্পনটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূগর্ভের ২৩.৮ কিলোমিটার গভীরে। দ্বিতীয়টির উৎপত্তি হয় ভূগর্ভের ৪০ কিলিমিটার গভীরতা থেকে। এখনও পর্যন্ত সুনামি সতর্কতা জারি হয়নি যদিও। তবে পর পর দুই তীব্র ভূমিকম্পের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কারণ এই নিয়ে পর পর, বেশ কয়েক বার, মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। (Earthquake in Japan)
২০২৩ সালে বছরভরই কম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানে। চলতি ডিসেম্বর মাসের শুরুতেও সেখানে ভূমিকম্প হয়। সেবার রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৭.৫। ফিলিপিন্সের দক্ষিণের মিনদানাওয়ে ভূমিকম্প হয়, তার জেরে কেঁপে ওঠে জাপানও। তার আগে, মে মাসেও ৬.৫ তীব্রতায় কেঁপে ওঠে জাপানের পশ্চিমের ইশিকাওয়া এলাকা। তাতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। আহত হন বহু মানুষজন। ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং অগাস্ট মাসেও ভূমিকম্প হয়েছে জাপানে।
আরও পড়ুন: Qatar Death Penalty: ইতালির মধ্যস্থতায় কাটল জট, কাতারে মৃত্যুদণ্ড থেকে রক্ষা ৮ ভারতীয়ের, কমল সাজা
বারং বার কম্পন, অশনি সঙ্কেত দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
পর পর এমন ভূমিকম্পে প্রমাদ গুনছেন জাপানের বাসিন্দারা। কারণ ২০১১ সালের মার্চ মাসেই ১২ বছর আগে, ভূমিকম্পের জেরেই বিপর্যয় নেমে আসে জাপানে। গ্রেট ইস্ট জাপান আর্থকোয়েক অ্যান্ড সুনামি নামে সেই বিপর্যয়কে উল্লেখ করা হয় আজও। প্রায় ১৫ হাজার মানুষ মারা যান। এদিনের ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। হতাহতের কোনও খবরও এসে পৌঁছয়নি এখনও। কিন্তু পর পর এমন বিপর্যয় মোটেই শুভ লক্ষণ নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।