অরিন্দম সেন ও সনৎ ঝা, আলিপুরদুয়ার: মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার মাদারিহাটের জলদাপাড়া ন্যাশনাল ফরেস্টের ঐতিহাসিক হলং বনবাংলো (Jaldapara Halang Forest tourist lodge)। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এসি ফেটে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন গেলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে হাসিমারা ও ফালাকাটা দমকল বিভাগের দুটি ইঞ্জিন। কিন্তু, দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণ করার আগেই ভস্মীভূতে হয়ে যায় আটটি ঘর থাকা এই বনবাংলোটি। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।


আরও পড়ুন: Mamata Meets Ananta Maharaj: কোচবিহারে অনন্ত মহারাজ-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাক্ষাৎ, নয়া সমীকরণ নিয়ে জল্পনা


বন দফতর সূত্রে খবর, রাত নটা ১৫ মিনিট নাগাদ আচমকা আগুন লেগে যায় কাঠের তৈরি ঐতিহাসিক জলদাপাড়ার হলং বনবাংলোয়। প্রথমে সেখানে থাকা বন দফতরের কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও সফল হননি। পরে খবর পেয়ে রাত ১০টা নাগাদ হাসিমারা ও ফালাকাটা থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও কোনও লাভ হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রিত হওয়ার আগেই কাঠের তৈরি ওই বাংলোর আটটি ঘরই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যদিও ক্ষতি কতটা হয়েছে তা বুধবার সকালে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বলা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের স্থানীয় আধিকারিকরা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এসি ফেটে, শর্ট সার্কিটের কারণেই আচমকা আগুন লেগে যায় ওই বনবাংলোতে। যদিও পুরো বিষয়টি খতিয়ে না দেখে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি বন দফতর। তবে কোনও পর্যটক না থাকায় প্রাণহানি বা জখম হওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি।


আরও পড়ুন: Weather Alert: অতি ভারী বর্ষণের লাল সতর্কতা উত্তরবঙ্গে, ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা..


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে তৈরি হওয়া এই বনবাংলোটি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর খুব পছন্দের ছিল। তিনি প্রায় সময়ই অবসর যাপন করতে আসতেন এই বন বাংলোয়। প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য দেশে বিদেশের অনেক পর্যটকও আসতেন এই বনবাংলোয় রাত কাটাতে।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Kanchenjunga Express Train Accident: রেলবোর্ডের কথায় 'মৃত', মালগাড়ির সহকারি চালক এখনও জীবিত