আলিপুরদুয়ার: প্রবল হাওয়ায় হেলে পড়ল রাজ্যের আরও এক কালীপুজোর (Kali Pujo 2022) প্যান্ডেল। উল্লেখ্য, হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। কাল থেকেই চার জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। আজ কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে মাঝারি বৃষ্টি হবে। কলকাতা ও হাওড়ায় হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ৫০ কিলোমিটার। এহেন মুহূর্তে, দমকা হাওয়ায় আলিপুরদুয়ার সবুজ সঙ্ঘের পুজো প্যান্ডেল ক্ষতিগ্রস্ত। সড়িয়ে নেওয়া হয়েছে দুই প্রতিমা। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল। 


প্রসঙ্গত, এদিন দমকা হাওয়ায় উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে ভেঙে পড়ে কালী পুজো প্যান্ডেলের গেট। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে সুন্দরবন এলাকায়। উপকূলবর্তী এলাকায় কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।আবহাওয়া দফতর বলছে, সিত্রাং এবং অমাবস্যার কটালের জেরে, সমুদ্রে ৬ মিটার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য আগাম সতর্ক উপকূলের জেলাগুলো। বকখালিতে অনেকটাই ফাঁকা বকখালি সমুদ্র সৈকত। গুটিকয়েক পর্যটকের দেখা মিললেও তাঁদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হচ্ছে না। সমুদ্র কিছুটা অশান্ত। আকাশ মেঘলা। ঝিরঝির করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।সকাল থেকে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার তরফে মাইকে প্রচার চলছে।


উল্লেখ্য, নবান্ন থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা থেকে হলদিয়া পুরসভা, জরুরি বিভাগের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কর্মী-আধিকারিকের ছুটি বাতিল করেছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ত্রাণশিবির। শুকনো খাবার, সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর,  দুর্যোগ মোকাবিলায়, রাজ্যের ৭টি জেলায় মোতায়েন রয়েছে, NDRF-এর ১৪টি টিম। এর মধ্যে, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৪টি, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩টি উত্তর ২৪ পরগনা ও কলকাতায় ২টি করে,  এছাড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর ও নদিয়ায় একটি করে টিম মোতায়েন করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে, বাংলা-ওড়িশা সীমান্তে, প্রচার চালাচ্ছে NDRF। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে পুলিশ ও NDRF-এর তরফে মাইকে প্রচার চলছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ফ্লাড সেন্টারগুলির অবস্থা। হিঙ্গলগঞ্জে হেমনগর কোস্টাল থানার তরফেও মাইকে প্রচার করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন, দমকা হাওয়ায় বৈশাখী বাজারে দুর্ঘটনা, প্রায় ২০টি দোকানের ভেঙে পড়ল ছাউনি, আহত ৬


 এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২৫ অক্টোবার পর্যন্ত বাংলায় ঝড়বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুন্দনবন-সহ যেসকল এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেই সকল এলাকায় সরকারের তরফে বন্দ্যোবস্ত করা হয়েছে। সেগুলিকে পুরোপুরি সহযোগিতা করতে এদিন সবাইকে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী । মমতা আরও বলেন,  'একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জারি থাকবে। সুতরাং সকলে কালীপুজোতে আনন্দ করুন। কিন্তু দেখে রাখবেন, ঝড় বৃষ্টি বেশি হলে ঘরে থাকাটাই ভালো। অল্প বৃষ্টি হলে, ঠিক আছে, আপনি গেলেন, ঘুরলেন, চলে আসলেন। তবে ওয়েদারটা কাল ভোর থেকে আরও বেশি খারাপ হবে। '