অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: রামনবমীতে অশান্তি ছড়িয়েছে একাধিক জেলায়। হনুমান জয়ন্তীর আগে তাই চূড়ান্ত সতর্কতা। তা নিয়ে শাসক-বিরোধী তুমুল তরজা শুরু হয়েছে। সেই আবহেই আলিপুরদুয়ার (Alipurduar News) থেকে মেলবন্ধনের ছবি উঠে এল। সেখানে হনুমান জয়ন্তীর (hanuman Jayanti) শোভাযাত্রায় পাশাপাশি পা মেলালেন তৃণমূল (TMC) এবং জেলা বিজেপি-র (BJP) প্রথম সারির নেতাদের। 

আলিপুরদুয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি সামনে এল

রামনবমীতে অশান্তির জেরে হনুমান জয়ন্তীতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হয়েছে। তার পরও বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা চোখে পড়ে। লকেট চট্টোপাধ্যায়-সহ বিজেপি-র কিছু নেতা-নেত্রী শোভাযাত্রায় যোগ দিতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বলে ওঠে অভিযোগ। কিন্তু এ দিনই আলিপুরদুয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি সামনে এল। সেখানে পাশাপাশি হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় ছিলেন শাসক এবং বিরোধী দলের নেতারা। 

হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আমিলপুর জেলার মাদারিহাট ব্লকের বীরপাড়ায় বিশেষ শোভাযাত্রা বের হয়। হনুমান জয়ন্তী উৎসব কমিটির তরফে সেই শোভাযাত্রার আয়োজন হয়। তাতে অংশ নিতে দেখা যায় মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা এবং জয়গাঁও ডেভলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে। শত শত হনুমান ভক্তদের সঙ্গে শোভাযাত্রায় পা মেলান তাঁরা। 

আরও পড়ুন: Kurmi Movement: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ঝাঁঝ বাড়ছে কুড়মি আন্দোলনের, লাগাতার রেল-সড়ক অবরোধ, হয়রান যাত্রীরা

এ দিন, বীরপাড়া মহাবীরস্থান মন্দির প্রাঙ্গন থেকে বীরপাড়া চৌপট্টি পর্যন্ত এগোয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। তার পর আবার ফিরেও আসে। রাজ্য পুলিশের নজরদারি ছিল যদিও। তবে আগাগোড়া শান্তিপূর্ণ ভাবেই সমাপ্তি ঘটে শোভাযাত্রার। গঙ্গাপ্রসাদ জানান, তিনি বরাবরই হনুমানের ভক্ত। বজরঙ্গবলি সঙ্কট হরণ করেন বলে বিশ্বাসী। দেশ, রাজ্য এবং সমাজকে সব সঙ্কট থেকে মুক্ত করতেই একত্রে শোভাযাত্রায় শামিল হয়েছেন বলে জানান। 

বীরপাড়া মহাবীরস্থান মন্দির প্রাঙ্গন থেকে বীরপাড়া চৌপট্টি পর্যন্ত এগোয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

মনোজ আবার বলেন, "প্রতি বছরই আসি। আশা করব এই অনুষ্ঠান আগামীতে আরও ভাল করে হবে। আরও মানুষ অংশগ্রহণ করবেন।" তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি তিনি। বলেন, "রামনবমী বা হনুমান জয়ন্তী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করছেন, তা আশা করা যায় না।"

রামনবমীর অশান্তির পর রাজ্যে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। এ দিন  সকাল থেকেই কলকাতা, বরানগর, টিটাগড়, মগরায় টহল দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোথাও আবার তাঁদের নিরাপত্তাতেই বেরোল হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা।