অরিন্দম সেন, ফালাকাটা: আলিপুরদুয়ারের নবগঠিত ফালাকাটা পুরবোর্ড দখল করতে তৎপর তৃণমূল। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলেও জনসংযোগ কর্মসূচি শাসক দলের। নথিবদ্ধ করা হচ্ছে পুরবাসীদের সমস্যা। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।


কোভিড আবহে ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে ৪ কর্পোরেশনের ভোট। ২২ জানুয়ারির বদলে নির্বাচন হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। অন্যদিকে, ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বকেয়া পুরভোট করতে চেয়ে আদালতে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ৪ কর্পোরেশন ছাড়া এখনও বকেয়া পুরভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে অনেক জায়গায় জনসংযোগে নেমে পড়ছে শাসক-বিরোধীরা। রবিবার সেই ছবি দেখা গেল আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায়।


এদিন সকালে ফালাকাটা পুর এলাকার ২টি ওয়ার্ডে জনসংযোগ সারেন যুব তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। কখনও পথচলতি মানুষদের সঙ্গে কথা বলে, কখনও বাড়ি বাড়ি গিয়ে এলাকাবাসীর সমস্যা লিখে নেন শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা। দেন সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতিও।


তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ৯ দিন ১৮ ওয়ার্ডেই চলবে এই জনসংযোগ কর্মসূচি। যা নিয়ে শাসক দলকে নিশানা করতে ছাড়েনি বিজেপি। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সভাপতি ভূষণ মোদকের কটাক্ষ, ‘তৃণমূল জনবিচ্ছিন্ন। তৃণমূলের নেতারা শুধুমাত্র কাটমানি তোলায় ব্যস্ত। মানুষের সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। তাই পুরভোটের আগে জনসংযোগের প্রয়োজন হয়ে পড়ছে।’


যদিও বিজেপি-র কটাক্ষকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। ফালাকাটা তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি শুভব্রত দে বলেছেন, ‘জনসংযোগ শুরু করলাম। আগামী ৯ দিন ধরে ১৮ ওয়ার্ডেই এই কর্মসূচি চলছে। মানুষের সমস্যাগুলি আমরা জানছি। সেগুলি সমাধানের চেষ্টা করব।’


গত বছরের ৬ জুলাই ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে তৈরি হয় ১৮ ওয়ার্ডের ফালাকাটা পুরসভা। নবগঠিত এই পুরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক। কোভিড আবহে নবগঠিত এই পুরসভায় ভোট হয়নি। গত বিধানসভা নির্বাচনে ফালাকাটা দখলে করেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে নতুন পুরবোর্ড গঠন করবে কারা? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।