অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: তৃণমূলেই আছেন। কিন্তু জেলা পরিষদের সভাধিপতি ষড়যন্ত্র করে তাঁকে সরিয়ে দেন। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষর পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর মুখ খুললেন আলিপুরদুয়ারের এক নেত্রী। ওই নেত্রী দলে ফেরার আবেদন জানালেও, গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল নেতৃত্ব।অপসারিত আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদ্মা রায়ের দাবি, বিজেপির পতাকা কখনও হাতে নিইনি। বরং জেলা পরিষদের সভাধিপতি পরিকল্পনা করেই আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন।
তিনি কোন দলে? বিজেপি না কি তৃণমূলে? বিজেপি যোগের অভিযোগে, আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সদস্য ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পদ্মা রায়কে সম্প্রতি সরিয়ে দেয় তৃণমূল। পদ হারানোর পর, অপসারিত নেত্রীর দাবি তিনি তৃণমূলেই আছেন। তাহলে অপসারণ কেন? জেলা পরিষদের সভাধিপতির দিকেই তিনি আঙুল তুলেছেন পদ্মা। তিনি বলেছেন, সভাধিপতির নির্দেশেই জেলা পরিষদের বিভিন্ন বৈঠকে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। জেলা পরিষদের বেনিয়ম টেন্ডার প্রক্রিয়া আটকে দেওয়া সহ বহু ক্ষেত্রেই বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় রোষের মুখে পড়তে হয়েছে।
কিন্তু, কেন পদ্মা রায়ের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে এই ধোঁয়াশা? বিধানসভা ভোটের আগে জেলা পরিষদের মেন্টর ও প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি মোহন শর্মা বিজেপিতে যোগ দেন। মোহন শর্মার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ওই নেত্রী, বিজেপির সঙ্গে যোগ রেখে চলেছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব স্পষ্ট করে দিয়েছে, পদ্মা রায় এখন ক্লোজ চ্যাপ্টার।
আলিপুরদুয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেছেন,যিনি নির্বাচনের আগে দলকে বিপদে ফেলে বিজেপিতে যান, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে থাকতে পারেন না। সঠিক কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে।
পদ হারিয়ে আপাতত গৃহবন্দি কালচিনি এলাকার জেলা পরিষদ সদস্য। তৃণমূল দরজা বন্ধ করে দেওয়ায়, তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে।