কলকাতা: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু উৎপীড়নের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে অল ইন্ডিয়া রিফিউজি ফ্রন্ট। তাদের দাবি, CAA নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। শরণার্থী হিসেবে পড়শি দেশ থেকে কেউ এলে, তিনি কতটা সাহায্য পেতে পারেন, তা নিয়ে স্পষ্ট নয় সরকারি নীতি। এ নিয়ে ইতিবাচক ভূমিকা নেওয়া উচিত কেন্দ্রের, দাবি অল ইন্ডিয়া রিফিউজি ফ্রন্টের। (All India Refugee Front)
মানবাধিকার কর্মী শাহরিয়ার কবীরের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরব হয়েছে রিফিউজি ফ্রন্ট। হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিশ্চান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্তর গ্রেফতারির প্রতিবাদেও সরব রিফিউজি ফ্রন্ট। বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী রবীন্দ্র ঘোষ, রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় হাজির ছিলেন গতকালের সভায়। অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। (All India Refugee Front)
গতকালের সভায় রবীন্দ্রকে বলতে শোনা যায়, "সরকারের ভূমিকা ইতিবাচক নয়, তবে আশা করছি, তাঁরা কিছু করবেন। তাই এখনই নেতিবাচক বলছি না।" তিনি জানান, কেন্দ্রের কাছে দু'টি দাবি তাঁদের, CAA নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট ভাবে জানানো এবং ২) বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করা। রবীন্দ্র বলেন, "বাংলাদেশর উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে ভারত সরকারকে। কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক চাপ, যাতে তারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করে।" বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বলেও মন্তব্য করেন রবীন্দ্র।
অল ইন্ডিয়া রিফিউজি ফ্রন্ট এবং ক্য়াম্পেন এগেন্ট অ্যাট্রোসিটিজ অন মাইনরিটিজ ইন বাংলাদেশ নামে দুই সংগঠনের তরফে বুধবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে দাবিগুলি জানানো হয়। বাংলাদেশে নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘুদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে তাঁদের ভারতে সাময়িক ভাবে থাকার ব্যবস্থা করা উচিত বলে বিভিন্ন সংগঠনের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি উঠছে লাগাতার। গতকালের সাংবাদিক বৈঠকেও একই দাবি ওঠে।
ক্য়াম্পেন এগেন্ট অ্যাট্রোসিটিজ অন মাইনরিটিজ ইন বাংলাদেশ সংগঠনের তরফে ১৯৭১ সালের প্রসঙ্গ টানা হয়, যে সময় দেশের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী বাংলাদেশি উদ্বাস্তুদর ভারতে সাময়িক আশ্রয় দিয়েছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতি সীমান্ত এলাকায় একই রকম ব্যবস্থা করা হোক বলে দাবি উঠেছে। এই দাবিতে সমর্থন জানান তথাগতও।
আরও পড়ুন: Supreme Court: দেশের কোনও অংশকে কেউ পাকিস্তান বলতে পারেন না, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট