সুনীত হালদার, হাওড়া: সামনেই দুর্গাপুজো। তার আগেই বন্ধ জুটমিল। পুজোর মুখে আচমকা কর্মহীন হয়ে দিশেহারা শয়ে শয়ে পরিবার। আজ সকালে কর্মীরা কাজে যোগ দিতে এসে দেখেন গেটে ঝুলছে "সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক" নোটিশ। এরপর তারা গেটের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। হাওড়ার দাসনগরের জুটমিল বন্ধে অনিশ্চিত ভবিষ্যত ৬০০ কর্মীর।
কর্মচারীদের অভিযোগ ওই মিলের তাঁত বিভাগের শ্রমিকদের অতিরিক্ত কাজ করানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। গত কয়েকদিন ধরে দুটো তাঁত মেশিনের বদলে চারটে মেশিন চালানোর জন্য ওই বিভাগের শ্রমিকদের ওপর রাজ্য শাসকদলের ইউনিয়ন এবং ম্যানেজমেন্ট চাপ দিতে থাকে। কিন্তু তাদের পক্ষে চারটি মেশিন চালানো অসম্ভব। গতকাল এই নিয়ে তারা ম্যানেজমেন্ট এর কাছে প্রতিবাদ জানায়। তারপর আজ সকালে কর্মবিরতির কথা ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
কর্মীদের আরও অভিযোগ ওই মিলে সব ধরনের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত। এদিকে মিল কর্তৃপক্ষ নোটিসে উল্লেখ করেছে তাঁত বিভাগের কর্মীদের বারবার বলা সত্ত্বেও তারা উৎপাদনে নজর দেয়নি। এর ফলে অন্য বিভাগের উৎপাদন মার খেয়েছে। তাই মিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, ঘূর্ণাবর্তের দাপটে ফের বৃষ্টি দুর্যোগ বঙ্গে? কতদিন চলবে? কোন কোন জেলায় সতর্কতা?
পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত মিলের কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। পুজোর মুখে হঠাৎ কর্মীরা এই নোটিস পেলে তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। তারা বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেবেন। তারা চাইছেন আলোচনার মাধ্যমে মিল কর্তৃপক্ষ ফের চালু করুক মিল।
কিছুদিন আগেই কাকিনাড়ার একটি জুট মিল বন্ধ হয়ে যায়। কর্মহীন হয়ে পড়ে কারখানার প্রায় তিন হাজার স্থায়ী অস্থায়ী শ্রমিক। শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের জেরে কাকিনাড়ার নফর চাঁদ জুট মিলে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ, এমনটাই খবর। শনিবার মিলের ভিতরে শ্রমিক-মালিক অসন্তোষের চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। তারপরে উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে কর্তৃপক্ষ। পুজোর মুখে কর্মহীন হয়ে পড়ায় দিশেহারা কর্মীরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে