কৃ্ষ্ণেন্দু অধিকারী, আশাবুল হোসেন ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: নিয়োগের দাবিতে ফের রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীদের (Job Seeker) ৯টি মঞ্চের মহাজোট। কলকাতায় (Kolkata) মহামিছিলের পর এবার মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে নবান্নের কাছে রাস্তায় বসে পড়লেন আন্দোলনকারীরা। ফের তাঁদের জোর করে গাড়িতে তুলে দিল পুলিশ। 


নবম থেকে দ্বাদশের যুব-ছাত্র অধিকার মঞ্চ, SLST থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের-গ্রুপ ডি, মাদ্রাসা কমিশন, নার্সিং--- নিয়োগের দাবিতে সম্প্রতি মহাজোট তৈরি করে আন্দোলনে নামে চাকরিপ্রার্থীদের ৯টি মঞ্চ। ১৯ ডিসেম্বর নিয়োগের দাবিতে কলকাতায় বড় মিছিলও করে তারা। 


এরপর ফের বুধবার নবান্নের (Nabanna) সামনে কাজিপাড়ার কাছে জড়ো হন চাকরিপ্রার্থীদের নয়টি মঞ্চের প্রতিনিধিরা। দ্রুত নিয়োগ এবং অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি তোলেন তারা। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশবাহিনী । 


৯টি মঞ্চের নয়জন প্রতিনিধিকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আর্জি জানান চাকরিপ্রার্থীরা। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা মেল করেছেন, সেই তথ্যও জানানো হয়। কিন্তু দুই সদস্যের প্রতিনিধিকে নবান্নে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কথা বলে পুলিশ । যা মানতে চাননি আন্দোলনকারীরা । 


এক আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীর কথায়, এরকম লাখো লাখো মেল আর বস্তা বস্তা চিঠি আমরা নবান্নে পাঠিয়েছি । কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও সলিউশন হয়নি। তাই আজ বাধ্য হয়ে নবান্নর কাছে এই কর্মসূচি নিয়েছি । যাতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী অন্তত দুটো মিনিটের জন্য সাক্ষাৎ করেন।


এরপরই রাস্তায় প্ল্যাকার্ড হাতে বসে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। পুলিশ চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দিতে গেলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি । নিয়োগ চেয়ে ফের 'নবান্ন অভিযান' ! ধাক্কা দিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের সরাল পুলিশ। এনিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। এদিন ১৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে গ্রেফতার করে শিবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।


উল্লেখ্য, রাজ্যজুড়ে চাকরিপ্রার্থীদের দফায় দফায় বিক্ষোভ কার্যত বড় আকার নিয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বরও অবস্থান চালায় চাকরিপ্রার্থীরা। পথেই কাটে বড়দিন। ক্রিসমাসেও আন্দোলনস্থলে ছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ছিলেন সান্তাও। তবে তিনি গিফট দিচ্ছেন না। বরং সরকারের কাছে উপহার হিসেবে চাইছেন নিয়োগপত্র। এ দিন, ধর্মতলায় আন্দোলনকারীদের মঞ্চে যান মহম্মদ সেলিম। পুরোটাই রাজনীতি। যাঁরা যোগ্য, তাঁরা পথে না বসলেও চাকরি পাবেন। মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ হাকিম।