কলকাতা: সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে প্রিয় কফি বা পানীয়ে চুমুক, আকাশ দেখতে দেখেত চেখে দেখা পছন্দের খাবার.. গোটা কলকাতাবাসীর এই অভিজ্ঞতা ভীষণ পছন্দের। আর ক্রেতাদের সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই কলকাতার অলিতে গলিতে রয়েছে ছাদের ওপর রেস্তোরাঁর সেট আপ যার পোশাকি নাম রুফটপ রেস্তোরাঁ। কিন্তু যাঁরা প্রকৃতিকে উপভোগ করতে করতে খেতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য বিরাট দুঃসংবাদ। আপতত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কলকাতার সমস্ত রুফটপ রেস্তোরাঁ।

'কলকাতায় আপাতত থাকবে না কোনও রুফটপ রেস্তোরাঁ', বড়বাজারকাণ্ডের জেরে নির্দেশিকা কলকাতা পুরসভার। 'সিঁড়ির মতো ছাদও কারও একার নয়, বিক্রি করা যাবে না', পুলিশ, দমকলের সঙ্গে বৈঠকের পরে কড়া নির্দেশিকা পুরসভার। সিঁড়ির মতো ছাদ কারও নয়, বিক্রি করা যাবে না পুলিশ, দমকলের সঙ্গে বৈঠক সারলেন মেয়র। কলকাতা পুরসভাকে সাহায্য করবে পুলিশ। এই সিদ্ধান্তের জেরে রেস্তোরাঁগুলি ব্যবসায় বড় ক্ষতির আশঙ্কা করছে।

নতুন গজিয়ে ওঠা অলিতে গলিতে রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে কলকাতার একাধিক ঐতিহ্যসালী রেস্তোরাঁতেই ছাদে বসে খাওয়ার সুবিধা রয়েছে। সুন্দর করে ছাদটাকে সাজিয়ে তোলা হয় ওয়ার্ম আলোয়। সেই আলোতেই চলে খাওয়া দাওয়া। কোথাও কোথাও থাকে মদ্যপানের ব্যবস্থাও। এমনকি কোথাও কোথাও ছাদ সাজাতে ব্যবহার করা হয় জাকুজি, বসে লাইভ কনসার্ট ও। কলকাতাবাসীর কাছে বেশ প্রিয় এই রুফটপ রেস্তোরাঁ। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সব জায়গাতেই কম বেশি রুফটপ রেস্তোরাঁ রয়েছে বসে, তবে দক্ষিণ কলকাতা ও সল্টলেকের দিকে রুফটপ রেস্তোরাঁর সংখ্যা অনেক বেশি। পুরসভার এই সিদ্ধান্তে ব্যবসায় বড় ক্ষতির আশঙ্কা দেখতেন রেস্তোরাঁর মালিকেরা। 

সদ্য বড়বাজারেj হোটেলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষের। এই এই মৃত্যুর কারণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে অব্যবস্থার কথা। অনেকেই বলছেন, হোটেলের সিঁড়ি বন্ধ থাকায়, অনেকেই সেখান দিয়ে নেমে প্রাণ বাঁচাতে পারেননি। অনেকেই রেস্তোরাঁর ছাদে পর্যন্ত উঠতে পারেননি। বিভিন্ন হোটেলে খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে একাধিক হোটেলে কাজ করছে না অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা। হোটেলের সিঁড়ি বা ছাদ অনেক জায়গাতেই বন্ধ। হোটেলে সঠিকভাবে আগুন নেভানোর সুরক্ষা নেই অথচ গড়ে উঠেছে গায়ে গায়ে ঘর। 

সদ্যই অভিযান চালিয়ে পার্ক স্ট্রিটের ৬টি রেস্তোরাঁ বন্ধ করা হয়েছে। আর এবার বড় কোপ পড়ল কলকাতার রুফটপ রেস্তোরাঁগুলিতে।