বেলুড়: অবৈধ কল সেন্টার (Call Center) থেকে বিদেশি গ্রাহকদের প্রতারণার অভিযোগ। হাওড়ার (Howrah) বেলুড় (Belur) থেকে গ্রেফতার করা হল অমিত কুমার ও সুমন মণ্ডল নামে দুই যুবককে। উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ৭০ হাজার টাকা। বেলুড় স্টেশন রোডের একটি বাড়িতে চলত কল সেন্টারটি। গতকাল গভীর রাতে হানা দেয় সিআইডির ও পুলিশের যৌথ দল। ধৃতদের ১০ দিনের সিআইডি (CID) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রাক্তন ডিআইজিকে প্রতারণা: এই একই দিনে ক্রেডিট কার্ড আপডেট করানোর নামে প্রাক্তন ডিআইজিকে এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। হাওড়ার জগাছা থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
একের পর এক প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করছে পুলিশ। আর প্রাক্তন এক পুলিশ কর্তাই প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষাধিক টাকা হারালেন! প্রাক্তন DIG-কে ক্রেডিট কার্ড আপডেট-এর প্রস্তাব দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। রাজ্য পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি রমেশচন্দ্র গৌড়ের দাবি,এপ্রিল মাসে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন পান।
ব্যাঙ্কের কর্মী পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তিকে ক্রেডিট কার্ড আপডেট করতে বলেন। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্তার মোবাইল ফোনে পাঠানো হয় OTP। সেই OTP অভিযুক্তকে জানানোর পরই ফোন কেটে দেয় সে। অভিযোগ, এর কিছুক্ষণ পরই রমেশচন্দ্র গৌড়ের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য কাজে লাগিয়ে তুলে নেওয়া হয় ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
গত ১৯ এপ্রিল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রাক্তন DIG। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা জানতে পারেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তার টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে হাওড়ার একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। তদন্তে দেখা যায়, সেই অ্যাকাউন্টটি ভুয়ো নথি দিয়ে খোল হয়েছিল। যে মোবাইল ফোন থেকে প্রাক্তন DIG-কে ফোন করা হয়েছিল, সেটিও ট্র্যাক করা শুরু হয়।
অবশেষে মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন দেখে শনিবার ভোরে হাওড়ার জগাছা থেকে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত বিকাশ সিংকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত ব্যক্তি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে একাধিক প্রতারণা করেছে। আরও কেউ তার সঙ্গে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা: রেলে চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে গাছে বেঁধে মার। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার সত্যপুরের ঘটনা। অভিযোগ, রেলে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে আড়াই বছর আগে ৫ লক্ষ টাকা নেন তৃণমূল নেতা। ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সদস্যরা এদিন তৃণমূল নেতাকে গাছে বেঁধে মারধর করেন। পরে ডেবরা থানার পুলিশ গিয়ে আক্রান্তকে উদ্ধার করে। টাকা নিয়ে কলকাতায় একজনকে দিয়েছিলাম। আমি কমিশনের জন্য কাজ করেছি। দাবি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার। বর্তমানে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নয় অভিযুক্ত। পুলিশকে বলেছি গ্রেফতার করতে। প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের জেলা কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতির।