সুনীত হালদার, ডোমজুড়: বিডিও (BDO) অফিসের কর্মীর পরিচয়ে প্রতারণার (Fraud Case) অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে খাদ্য দফতরে (Food Department) চাকরির টোপ দেওয়া হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়ের বাসিন্দাকে হাতেনাতে ধরলেন দুই মহিলা। ডোমজুড় বিডিও অফিসার বাইরে করা হল মারধরও। শেষে বিডিওর নির্দেশে অভিযুক্তকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে।
বিডিও অফিসের কর্মীর পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ: অভিযোগ, খাদ্য দফতরে চাকরির টোপ দিয়ে হাজার হাজার টাকা তুলেছিলেন। বুধবার, আরও টাকার টোপ দিয়ে সেই অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে ফেললেন অভিযোগকারীরা। আর তারপরেই শুরু হল মারধর। অভিযোগকারীদের দাবি, নিজেকে ডোমজুড় বিডিও অফিসের (Domjur BDO Office) কর্মী বলে পরিচয় দিতেন ডোমজুড়ের মাকড়দহের বাসিন্দা রাজেশ চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, রেশন দফতরে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে প্রায় ১০ জন মহিলার থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা করে নেন।
অভিযোগকারী মৌমিতা পাল বলেন, “কোনওরকম পরীক্ষা দিতে হবে না। তখনই সন্দেহ হল।’’ প্রতারণার খপ্পড়ে পড়েছেন বুঝতে পেরে এদিন আরও টাকা দেওয়ার কথা বলে, অভিযুক্তকে ডাকা হয় ডোমজুড় বিডিও অফিসে। আর এই ব্যক্তি আসতেই ধরে ফেলেন অভিযুক্তরা। আরেক অভিযোগকারী সৌমিতা পাল বলেন, অফিসের সামনে যখন অভিযুক্তকে মারধর করা হচ্ছে, তখন ভিতরে বসে সিসিটিভিতে তা দেখতে পান ডোমজুড়ের বিডিও। এরপর তিনিই অভিযুক্তকে পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেন। ডোমজুড়ের বিডিও (Domjur BDO) গার্গী দাস বলেন, বিডিও অফিসের লোক নয়। পুলিশ ডেকে আমি ওদের হাতে তুলে দিয়েছি। এই ঘটনায় ডোমজুড় থানায় (Domjur Police Station) লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দিনকয়েক আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) নাম করে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) মহিষাদলে (Mahishadal)। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা মানলেও অভিযুক্ত দেবপ্রসাদ সেনীর দাবি, প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারায় বেশ কয়েকজনকে টাকা ফেরতও দিয়েছেন। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়ার নামে একেকজনের কাছ থেকে ৫-১৫ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Hooghly News: বলাগড়ে মাটি মাফিয়ার দৌরাত্ম্য, সরব খোদ তৃণমূল বিধায়ক