জয়ন্ত পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ভুয়ো কল সেন্টারের নামে প্রতারণার অভিযোগে দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে ১৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ৪ জন মহিলা। পুলিশ সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, হার্ডডিস্ক।
কলকাতার উপকণ্ঠে ফের ভুয়ো কল সেন্টারের পর্দাফাঁস। দমদম ক্যান্টনমেন্টে অফিসে হানা পুলিশের। কল সেন্টারের নামে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ১৭ জনকে। দমদম ক্যান্টনমেন্টের জে এস তিওয়ারি রোডে এই ফ্ল্যাটবাড়ির তিনতলায় খোলা হয়েছিল কল সেন্টার।
অভিযোগ, ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে প্রতারণার ছক কষা হত ওই কল সেন্টারে বসে! কখনও মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি! তো কখনও বিমার টাকা জোগাড় করে দেওয়া আশ্বাস! অভিযোগ, সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলিকে সামনেই রেখেই চলত প্রতারণার চক্র!
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে কল সেন্টারে হানা দেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ ও দমদম থানার অফিসাররা। গ্রেফতার করা হয় ১৭ জনকে। একাধিক ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। এই চক্রে আরও কেউ জড়িত কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
এর আগে একাধিকবার শহরে ভুয়ো কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩২জনকে গ্রেফতার করল ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, অনলাইন গেমের যন্ত্রপাতি বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে লিলুয়া থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা। যে কোনও প্রয়োজনে সহজে মিলবে বড় অঙ্কের ঋণ। বাড়ির ছাদে বা জমিতে মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসালে মাসে মোটা টাকা আয়! পুলিশ সূত্রে খবর, এরকম টোপ দিয়ে ভুয়ো কল সেন্টার থেকে প্রতারণা করা হচ্ছিল সাধারণ মানুষকে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে বিধাননগরের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতভর তল্লাশি অভিযান চালানো হয় ইপি ব্লকের একটি বহুতলে। গ্রেফতার করা হয় ১২ জন মহিলা সহ ৩২জনকে। উদ্ধার করা হয় বহু নথি।
অন্যদিকে, বিধানগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের হাতে পাকড়াও এক যুবক। ধৃতের নাম দীপক সাউ। বছর বাইশের ওই যুবকের বাড়ি হাওড়ার লিলুয়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, বিরাটির এক বাসিন্দার অভিযোগ, সোশাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে অনলাইম গেমের যন্ত্রপাতি বিক্রি করার নামে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করেন দীপক। অভিযোগ পেয়ে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। বুধবার ধৃতদের তোলা হয় বিধাননগ মহকুমা আদালতে।