কলকাতা: ফের সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে মুমুর্ষু রোগীকে হয়রানির অভিযোগ। রোগীর মৃত্যুর পর উত্তেজনা ছড়াল SSKM হাসপাতালে। ১ নভেম্বর থেকে SSKM-সহ ৫টি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেম চালু হয়েছে। তারপরেও এই হয়রানি কেন? উঠছে প্রশ্ন।
রোগীকে হয়রানির অভিযোগ: পরীক্ষামূলক ভাবে কলকাতার পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু হলেও রোগী-ভর্তিতে দুর্ভোগ অব্যাহত। প্রশ্ন উঠল হাসপাতালে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেমের বাস্তবায়ন নিয়ে। পরিবারের দাবি, ওই রোগীর নাক-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হওয়ায়, তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। অভিযোগ, SSKM কর্তৃপক্ষ বেড নেই বলে জানায়। এরপর রাতভর NRS ও কলকাতা মেডিক্যালেও ঘুরেও ওই রোগীকে ভর্তি করা যায়নি। সকালে রোগীকে নিয়েই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান আত্মীয়-পরিজনেরা। সেখান থেকে চিঠি লিখে দেওয়ায় রোগীকে ফের SSKM-এ আনা হয়। পরিবারের দাবি, হাসপাতালে ঢোকানোর সময় রোগী অসাড় হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। SSKM হাসপাতাল সূত্রে খবর, জেনারেল সার্জারির জন্য আউটডোরে পাঠানো হয় রোগীকে। তখনই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি।
দিন দুয়েক আগে বেড না থাকায় রাতভর SSKM হাসপাতাল চত্বরে স্ট্রেচারে পড়ে ছিলেন রোগী। অস্ত্রোপচার করাতে এসে ভোগান্তির শিকার হয় পরিবার। শেষমেশ জুনিয়ার ডাক্তারদের হস্তক্ষেপে ভর্তি করা হয় রোগীকে। আসানসোলের কুলটির বাসিন্দা উত্তর কুমার সিং(৪০)। কাঠের মিস্ত্রির কাজ করতেন ঝাড়খণ্ডে। রোগীর পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, সপ্তাহ দুয়েক আগে, সেখানে ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে শিরদাঁড়ায় আঘাত লাগে। শিরদাঁড়ার অস্ত্রোপচারের জন্য় প্রথমে তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কাজ না হওয়ায়, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগ, সেখানে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়েও পরিকাঠামো না থাকার কথা বলে রেফার করা হয় কলকাতায়। এরপর গত শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ SSKM-এ আনা হয় রোগীকে। অভিযোগ, হাসপাতালের তরফে বেড খালি নেই জানিয়ে দু'সপ্তাহ পর আসার কথা বলা হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Dengue Case: উৎসবের রেশ কাটতেই বঙ্গে ডেঙ্গির দাপট, শঙ্কা বাড়াচ্ছে পশ্চিমের জেলাগুলি