অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের (Pashchim Medinipur) বেলদায় (Belda) সরকারি জমিতে বেআইনিভাবে নির্মাণের (Illegal Construction) অভিযোগ। তৃণমূলের মদতেই চলছে সিন্ডিকেট রাজ, অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। অন্যদিকে, এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই বলে পাল্টা দাবি করেছে রাজ্যের শাসক দল। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ভূমি দফতর।
সরকারি জমিতে বেআইনি নির্মাণ?
একসময় এখানেই সরকারি জমি লিজ নিয়ে গড়ে উঠেছিল রাইস মিল। এখন বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা সেই রাইস মিলের জায়গায় বেআইনিভাবে বহুতল নির্মাণের অভিযোগ। কাঠগড়ায় খোদ খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিক। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় এই অভিযোগ ঘিরে তুঙ্গে চাপানউতোর।
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় রাইস মিলের জায়গায় বেআইনিভাবে আবাসন তৈরি করছেন এলাকার খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিক।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা গোপালকৃষ্ণ দেবনাথের অভিযোগ, 'অবৈধভাবে বিনা অনুমতিতে ঘর হয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই সরকার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক।'
যদিও, খাদ্য সরবরাহ আধিকারিকের দাবি, তাঁর পারিবারিক জমিতেই তিনি নির্মাণ কাজ করছেন। পশ্চিম মেদিনীপুরের এগরার খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিক শান্তনু দাস বলেন, 'জায়গাটা অবৈধ নয়। জায়গাটা আমার বাবার নামে, আমার মা বাড়ি তৈরি করছেন যদিও এটা রাইস মিল। শুধু আমার বাড়ি নয় পার্শ্ববর্তী সমস্ত বাড়িগুলো রাইস মিল হিসেবে রয়েছে।'
যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতে এলাকায় একের পর এক বেআইনি নির্মাণের তোড়জোড় চলছে, অভিযোগ বিজেপির। পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর অধিকারী বলেন, 'তৃণমূলের মদতেই অবৈধভাবে সিন্ডিকেট রাজ চলছে। সরকারি খাস জমি বিক্রি করে দিচ্ছে শাসক দলের নেতারা। এর আগে আমরা বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি, BLRO-র কাছে ডেপুটেশন দিয়েছি, কোন লাভ হয়নি।'
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি মিহির চন্দের কথায়, 'কেউ ব্যক্তিগতভাবে ঘর করছেন, এখানে দলের কোনও প্রশ্নই আসে না। আর ওখানে রাইস মিল ছিল কিনা ছিল এই বিষয়ে ভূমি দফতর বলতে পারবে।'
আরও পড়ুন: Hooghly News: প্রকল্পে কেন্দ্রের ৬০ শতাংশ টাকা, উদ্বোধনে একা মুখ্যমন্ত্রী কেন? প্রশ্ন রেলের
সরকারি জমিতে কেউ বেআইনি নির্মাণ করছে, এমন প্রমাণ মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ভূমি রাজস্ব দফতর। নারায়ণগড় ব্লকের ভূমি রাজস্ব দফতর আধিকারিক বিশ্বজিৎ বিশ্বাস বলেন, 'আমার কাছে লিখিত অভিযোগ আসেনি। যদি লিখিত অভিযোগ আসে তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই সমস্ত জায়গায় কনস্ট্রাকশনের কোনও অনুমতি দেওয়া হয় না। দোষী প্রমাণিত হলে লিগাল অ্যাকশন নেওয়া হবে।'
প্রশাসন সূত্রে খবর, অভিযোগ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাবেন ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা।