সিউড়ি: সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে প্রায় সাড়ে ৩০০ ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ (Fake Account)। সাড়ে ৩০০ ভুয়ো অ্যাকাউন্টের নথি ও তথ্য তলব সিবিআইয়ের। আগেই এই সাড়ে ৩০০ অ্যাকাউন্টের নথি বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই (CBI)।


সম্প্রতি গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমেও ১১৫টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। যেগুলি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য় পঞ্চায়েতে জমা হওয়া নথি ব্য়বহার করে যেগুলি করোনাকালে ২ দিনে খোলা হয়েছিল। দুদিনে এতগুলি অ্য়াকাউন্ট খোলার নথিতে সই করেছিলেন ব্য়াঙ্ক ম্য়ানেজার ! এই দাবি করে কেন্দ্রীয় সংস্থা।  তবে কি গরু পাচারের কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করতেই এই বীরভূমের ব্য়াঙ্কে এই অ্য়াকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল? উঠছে প্রশ্ন।   বীরভূমে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধান, কাউন্সিলর-সহ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।


সূত্রের খবর, লটারির মাধ্যমে গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল কি না, মূলত তাই জানতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, বেনামি ও ভুয়ো অ্য়াকাউন্টের ব্য়াপারে ১৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, অ্য়াকাউন্টের লেনদেনের ব্য়াপারে কিছুই জানেন না। ১২ জন টিপসই দিয়েছেন। এছাড়াও সিবিআইয়ের দাবি, ৪ টি অ্য়াকাউন্ট থেকে ভোলে ব্য়োম রাইস মিলের অ্য়াকাউন্টে টাকা গেছে। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্যের অ্য়াকাউন্টে গেছে ৬৬ লক্ষ টাকা। 


পাশাপাশি, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট যাদের নামে খোলা হয়েছে, তাদের গোপন জবানবন্দি নিতে সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারক।  ভোলে ব্য়োম রাইস মিলের অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজের নির্দেশ যাতে তুলে নেওয়া হয়, সেই আবেদন জানান অনুব্রতর আইনজীবী। বিচারক জানিয়েছেন, ওই দিনই রাইস মিলের অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ তুলে নেওয়ার আবেদনের শুনানি হবে। আদালতে হাজির ছিলেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের আইনজীবী। তিনি জানান, সায়গল সম্পর্কে সমস্ত তথ্য় ও সোনা-গয়নার হিসেব পেশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের পাল্টা দাবি, বিকৃত নথি দেওয়া হয়েছে. যা তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা প্রকৃত নথির সঙ্গে মিলছে না।  


আরও পড়ুন, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের স্ত্রীকে তলব ইডির


সূত্রের খবর, সায়গলকে জেরা করে পাওয়া তথ্য এবং সমবায় ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি সামনে রেখেই অনুব্রতকে জেরার কথা ওঠে। গরুপাচার মামলায় এই প্রথম তিহাড় জেলে গিয়ে কাউকে জেরা করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, সমবায় ব্যাঙ্কে ডামি অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্তে সায়গল হোসেনের নাম উঠে আসে। এই অ্যাকাউন্ট খোলা নিয়ে অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী সব জানতেন বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।