কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) এবার ধৃত কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) স্ত্রীকে তলব ইডির (ED)। বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষকে তলব ইডির। জয়শ্রী ঘোষকে চলতি সপ্তাহেই হাজিরার নির্দেশ ইডির।


ইডি সূত্রে খবর, জয়শ্রী ঘোষের নামেও বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে দাবি ইডির। সেই সব সম্পত্তির ব্যাঙ্কের আর্থিক লেন-দেন সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথমে কুন্তলকে গ্রেফতার করে ইডি। এই মুহূর্তে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। ইডি সূত্রে খবর, ২০১৭ সালের শেষ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৭৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা গিয়েছে। এই ৭৫টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে একটি সোমার।


এবিপি-র ক্যামেরায় সোমা টাকা প্রাপ্তির কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছেন। ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ হিসেবে কুন্তলের কাছ থেকে নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু স্বল্প দিনের পরিচয়ে কেন কুন্তল ওই বিপুল পরিমাণ টাকা সোমাকে দিলেন, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে দাবি, কুন্তলের সঙ্গে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগ মিলেছে। পাশাপাশি, চাকরিপ্রার্থীদের বিএড কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে ইন্টারভিউয়ে বসা, পাস করিয়ে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়া, গোটা প্রক্রিয়াতেই কুন্তল যুক্ত ছিলেন বলে সিবিআইয়ের দাবি।


অন্য়দিকে, তাপস মণ্ডলকে জেলে গিয়ে জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআইয়ের দাবি। এই সমস্ত তথ্যই আদালতে জানাবে সিবিআই। কুন্তলকে গ্রেফতারির ৫২দিনের মাথায় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় দল। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত নগদ ও সোনাদানা মিলিয়ে ১১১ কোটি টাকা উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অন্য দিকে, যুব তৃণমূল নেতা ছিলেন কুন্তল ঘোষ। চাকরি বিক্রিতে কোটি কোটি নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু প্রশ্নও রয়েছে বেশ কিছু। যেমন গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সন্দেহে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়েও কেন কোনও সাড়াশব্দ নেই দলের?


আরও পড়ুন, সমবায় ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ


তৃণমূলের মুখপাত্র ও রাজ্যে নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, 'দল কোনও দুর্নীতির সঙ্গে আপস করে না। আমাদের কোনও পদাধিকারী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা তাঁদের আত্মীয় যদি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধে আমরা অতীতেও কড়া ব্যবস্থা নিয়েছি।  তিনি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় হোন বা হালের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ বা কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাসপেন্ড রয়েছেন, কুন্তল ও শান্তনু দুজনেই অপসারিত হয়েছেন।'