ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: নাবালিকা ও তাঁর প্রেমিককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাওয়ার অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের উপস্থিতিতে সালিশি সভা ডেকে যুবককে জরিমানা করা হয়। অপমানে আত্মহত্য়ার চেষ্টা করে নাবালিকা। বীরভূমের পাড়ুইয়ের ঘটনা।                                         


ফের সালিশি সভার নামে মাতব্বরি! অভিযুক্ত তৃণমূলের দখলে থাকা পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধান। নাবালিকা ও তাঁর প্রেমিককে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেছেন গ্রামবাসীরা। এই অভিযোগে সালিশি সভা ডেকে যুবকের জরিমানা। অপমানে আত্মহত্য়ার চেষ্টা নাবালিকার!                   


ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে বীরভূমের পাড়ুইয়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পাড়ুইয়ের কসবা এলাকার এক নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে অন্য় পাড়ার এক বিবাহিত যুবকের। দ্বাদশীর দিন দু'জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় বলে দাবি গ্রামবাসীদের একাংশের।


নাবালিকার পরিবারের দাবি, শুক্রবার সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান নিমাই মুর্মু ও উপ-প্রধান আকাশ শেখের উপস্থিতিতে সালিশি সভা ডাকা হয়। সেখানে অভিযুক্ত যুবকের জরিমানা ধার্য করা হয় দেড় লক্ষ টাকা। পরে তা কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। 


পরিবারের দাবি, শুক্রবারই অপমানে আত্মহত্য়ার চেষ্টা করে নাবালিকা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন থাকা সত্বেও গ্রামে কীভাবে সালিশি সভা বসিয়ে জরিমানা করলেন তৃণমূল নেতারা? কেন আইন হাতে তুলে নিলেন তাঁরা? প্রশ্ন উঠছে। 


বীরভূম সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতির কথায় ধ্রুব সাহা, তৃণমূলের রাজত্বে সালিশি সভার মাধ্য়মে যদি বিচার হয় তাহলে বলতে হবে যে শাসন ব্য়বস্থা কোথায় গেছে।প্রশাসন কোথায় আছে। তৃণমূলের মাথা যা করবে সেটাই বিচারব্য়বস্থা। প্রধান উপপ্রধান রাজত্ব চলছে।


বোলপুরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিন্হার কথায়, এরকম ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে প্রশাসন আছে। প্রশাসনের হাতে তুলে দিলেই ভাল হত। আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় বাসিন্দা আদিবাসী গায়ক রথীন কিসকু অভিযোগ দায়ের করেছেন।  বীরভূমের পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, সালিশি সভা বসার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ওই সালিশি সভার জেরেই আত্মঘাতীয় হওয়ার চেষ্টা করে নাবালিকা। ঘটনার তদন্ত চলছে।