মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: সরকারি জমি (Government Land) দখল করে দোকান তৈরির অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম বর্ধমানের (Pashchim Bardhaman) দুর্গাপুরে (Durgapur)। যাতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন ব্লক সভাপতির। সমালোচনায় সরব বিরোধীরা (opposition)। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে, পাল্টা চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। 


‘দখলদারি’-তরজা 


তৃণমূলের পার্টি অফিসের একেবারে গা ঘেঁষে তৈরি হচ্ছে একের পর এক দোকান। দুর্গাপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের এই নির্মাণকাজকে কেন্দ্র করেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। সরকারি জমি দখল করে দোকান তৈরির অভিযোগ উঠেছে। যাতে নাম জড়িয়েছে খোদ তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির। 


স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূলের পার্টি অফিসের পাশে খাস জমির ওপর অবৈধভাবে ৮টি দোকান তৈরি করাচ্ছেন, দুর্গাপুর ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস আচার্য। তার জেরে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও ফের শুরু হয়েছে নির্মাণকাজ। 


দুর্গাপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড বাসিন্দা সাধন বাউরি বলেন, 'রাস্তাটা সরু হয়ে যাচ্ছে। আমরা বলেছিলাম শোনেনি। অভিযোগ জানানো হয়।' দখলদারির অভিযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরাও। 


পশ্চিম বর্ধমানের সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য পঙ্কজ রায় বলেন, 'তৃণমূল নেতা তখনই মানায় যখন জমি দখল করবে তোলাবাজি করবে।' 


অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে, পাল্টা রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন। দুর্গাপুরের কুরুড়িয়াডাঙার তৃণমূল নেতা দেবাশিস আচার্য বলেন, 'ভিত্তিহীন অভিযোগ। এক সময় রাস্তার জন্য জমিটি দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় একটি ক্লাব জমিটি রক্ষণাবেক্ষণ করে মাটি দিয়ে ভরাট করে। যেহেতু তিনি এই ক্লাবের একজন পদাধিকারী তাই দায়িত্ব নিয়ে নিজে কিছু টাকা ঢেলে স্থানীয় বেকারদের স্বার্থে এই কাজ করছেন। এর মধ্যে অন্যায় খুঁজে পাচ্ছি না, এসব রাজনৈতিক চক্রান্ত।'


আরও পড়ুন: SSKM News: হার্টের টিউমার বাদ দিয়ে বসল যন্ত্র, রেকর্ড অক্ষত এসএসকেএমের


দলের নেতা এই দাবি করলেও, বিষয়টিকে ভাল ভাবে দেখছে না তৃণমূল নেতৃত্বও। দুর্গাপুর পুরসভার ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগটা তো প্রাক্তন মেয়রের সময়ের। তিনি এখন কাউন্সিলর আছেন। তাঁরও বিষয়টা দেখা উচিত।'


দলীয় নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, মহকুমাশাসককে জানিয়েছেন ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর।