আবির দত্ত, কলকাতা: আবার কোল খালি হয়ে গেল এক মায়ের। আবার প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা। এবার বি সি রায় হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশুমৃত্যুর অভিযোগ উঠল। ভুল করে মায়ের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিল একরত্তি। পরিবারের অভিযোগ, তাড়াহুড়োয় পরিচয়পত্র আনতে ভুলে যাওয়ায় প্রথমে ভর্তি নিতে চায়নি বিসি রায় শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারপর ভর্তি করা গেলেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে ইনজেকশনের নাম লিখে দেয় তা কোথাও পাওয়া যায়নি বলে দাবি শিশুর পরিবারের। 


বিকল্প কোনও ওষুধ দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন তারা। এক বছর ২ মাসের শিশুকে ভুল ওষুধ ও ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে এবং চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। বাড়িতে একটি ভুল ওষুধ খেয়ে ফেলে সে।পরিবারের দাবি, রাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, মৃত্যু হয়েছে তাঁদের ১ বছর ২ মাসের শিশুকন্য়ার।


অভিযোগকারী ও মৃত শিশুর আত্মীয় বলেছেন,যে ওষুধটা ডাক্তারে লিখেছে কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। গোটা কলকাতা ঘুরে পাওয়া যায়নি। আমরা বললাম অন্য ওষুধ দিতে। আমরা অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, দেয়নি। দুপুরে মারা গেছে রাতে বলছে। ঘটনায় বিসি রায় শিশু হাসপাতালের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ফুলবাগান থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে শিশুর পরিবার।


অপরদিকে, চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে কলকাতা মেডিক্যালের বিরুদ্ধে। বাড়িতে ছেলের মৃত্যুর পর কলকাতা মেডিক্যালে বিক্ষোভ বাবা-মার। গত নভেম্বরে চিকিৎসকের গাফিলতিতে বছর ২৩-এর এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। চিকিৎসকে বিরুদ্ধে আনা হয় গাফিলতির অভিযোগ। এর পর বাড়িতে মৃত্যু হয় রোগীর। ছেলের মৃত্য়ুর পর কলকাতা মেডিক্যালে কলেজে (Calcutta Medical College Hospital ) গিয়ে বিক্ষোভ দেখান মৃতের বাবা ও মা। জানা গিয়েছে, হাসপাতাল সুপারের কাছে এ নিয়ে আগেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল পরিবারের তরফে। কী পদক্ষেপ হাসপাতালের, বুধবার সেটাই জানতে হাসপাতালে এসেছিলেন মৃত যুবকের বাবা-মা। তখনই সুপারের ঘরের সামনে অভিযুক্ত চিকিৎসককে দেখতে পেয়েই মারধর শুরু করেন তাঁরা। উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। 


আরও পড়ুন, বেসরকারি হোটেলে চলছিল হাতির দাঁত কেনা-বেচা, আচমকাই হানা বন দফতরের


কলকাতা মেডিক্যালের অঙ্কোলজি (Oncology Department) বিভাগে চিকিৎসা চলছিল বছর ২৩-এর দীপঙ্কর পালের। তার মৃত্যুর পর চিকিৎসার গা ফিলতির অভিযোগ তুলে বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর পরিবার। অভিযোগ জানিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। এরপর একমাসেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে, পরিবারের অভিযোগ অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। আর তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃত যুবকের মা ও বাবা।