কলকাতা: 'ভাইপো'কে নিশানা করে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। নোটবন্দির পর বিপুল পরিমাণ টাকা বদলের অভিযোগ। তিনি বলেন, 'বিভিন্ন থানার আইসি ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বস্তা বস্তা টাকা বদল করা হয়েছে। ১ হাজার ব্যবসায়ীর নাম দিয়ে দেব। অনুব্রত ১০০ কোটি বদল করলে ভাইপো ১ হাজার কোটি টাকার নোট বদল করেছেন। কাকে কাকে এজেন্ট করে ভাইপোর পিএ নোট বদল করেছেন, তার তালিকা আছে।' হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।


কখনও একশো দিনের কাজ, কখনও আবাস যোজনা, আবার কখনও অন্য কিছু। বারবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় উঠে এসেছে তৃণমূল। কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা, কখনও আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা। 


সম্প্রতি আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠছে নানা জেলায়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, বাংলায় এসেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। পরিদর্শন করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখেও পড়েছেন তাঁরা। ওই প্রসঙ্গে টেনে শুভেন্দু বলেছিলেন, 'আগামী সপ্তাহে আবাস দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের আরও ১৫টি জেলায় আসছে কেন্দ্রীয় দল।'


ম্যানগ্রোভ ধ্বংসের অভিযোগ:
সুন্দরবন এলাকায় ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে মাছের ভেড়ি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু। তা নিয়ে ট্যুইটে তৃণমূলকেও নিশানা করেছেন তিনি। শুভেন্দু লিখেছিলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানোর দাবি করেছে। বাস্তবে শাসক দলের নেতারা বাণিজ্যিক কারণে ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস করছে। প্রায় ৬০০ একর জায়গা জুড়ে ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করে মাছ চাষের ভেড়ি।' ওই বক্তব্যের পাল্টা সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়।


হোমগার্ড নিয়োগেও অভিযোগ:
সব ঠিক থাকলে কয়েক মাস পরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে তৃণমূলের কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের তরফে কয়েক হাজার অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগ করা হয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। ট্যুইটে তিনি দাবি করেছেন,  ৬ মাসের জন্য দৈনিক ৫৬৫ টাকায় কয়েক হাজার অস্থায়ী হোমগার্ড নিয়োগ করছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর। কোনও ঘোষণা ছাড়াই পঞ্চায়েত ভোটের আগে চলছে নিয়োগ। তৃণমূল ক্যাডারদের পঞ্চায়েত ভোটের আগে কাজে লাগানো হচ্ছে। নয়তো, ঘুষের বিনিময়ে এই সমস্ত পদ বিক্রি করা হচ্ছে।'


আরও পড়ুন: পোস্টারে একঘরে করার নিদান মহিষাদলে, বিরোধী দল করার 'অপরাধ'?