হংসরাজ সিংহ , পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার কাশীপুরে স্কুলের জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণের ( Illegal construction  in School) অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে।বিজেপির তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ওই জমি এখন রাজ্য সরকারের, পাল্টা দাবি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের (TMC)। 


স্কুলের জমিতে রাতারাতি গড়ে উঠছে মার্কেট কমপ্লেক্স


স্কুলের জমিতে রাতারাতি গড়ে উঠছে মার্কেট কমপ্লেক্স।হস্টেলের জমি দখল করেছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি, এমনই অভিযোগ উঠেছে পুরুলিয়ার কাশীপুরে।কাশীপুর পঞ্চকোট রাজ হাইস্কুল। একসময় কাশীপুর রাজার দেওয়া জমিতে তৈরি হয়েছিল স্কুল। আবাসিক পড়ুয়াদের জন্য স্কুলের হস্টেলও ছিল। পরে অন্যত্র স্কুল বাড়ি তৈরি করা হয়। বিজেপির অভিযোগ,স্কুলের অনুমতি ছাড়াই হস্টেলের জমিতে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করছে তৃণমূল পরিচালিত কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতি।


'..এটা পুরোটাই বেআইনি'


কাশীপুর বিজেপি বিধায়ক কমলাকান্ত হাঁসদা বলেছেন, হস্টেলের জমিতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে পঞ্চায়েত সমিতি বিল্ডিং তৈরি করছে, ব্যবসা করার জন্য। এটা পুরোটাই বেআইনি। স্কুল থেকে কোনও NOC তাদের দেওয়া হয়নি।কিন্তু তাও কাজকর্ম বন্ধ করেনি। BDO-কে বলা হয়েছে তাও বাধা দিচ্ছেন না। আমাদের ল্যান্ড ডিপার্টমেন্টকে বলা হয়েছে BLLRO-কে, তাও কোনও কাজ বন্ধ হয়নি। 


'আমি এখন তো শুনিনি,শুনলে হয়তো দেখা হত'


স্কুলের জমিতে কোনও নির্মাণ কাজের কথা জানাই নেই বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতি   সভাপতি কবিতা নাগ বলেছেন,আমি এখন তো শুনিনি। শুনলে হয়তো দেখা হত। BDO সাহেবের সঙ্গে আমি আলোচনা করছি। প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ওই জায়গার অনুমতি-দখল স্কুলের নামেই রয়েছে। ওই জমিতে নির্মাণ কাজের জন্য স্কুলের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। এই নিয়ে বিজেপির তরফে BDO ও জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন, সাতসকালে দিলীপের নিশানায় দেব-র 'ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান', বললেন..


'রাজা এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার..'


পুরুলিয়া তৃণমূল কংগ্রেস জেলা পরিষদ সদস্য স্বপন বেলথরিয়া বলেন,সেই জমি যখনই হস্টেল ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছে, তখন রাজার সম্পত্তি। রাজা এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তাহলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেখানে এই মুহূর্তে কাজ হচ্ছে। সামনেটা মার্কেট কমপ্লেক্স হচ্ছে। ভিতরটা পার্ক হবে। একটা বড় কমিউনিটি হল হবে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হবে।বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কাশীপুরের BDO।