বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) নন্দকুমারে একটি স্কুলে, মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) কারচুপির অভিযোগ। যেখানে মিড ডে মিল খেয়েছে ৫০ জন, সেখানে দেখানো হয়েছে ৩৫০ জন। ঘটনায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক (Principal) ও এক অশিক্ষক কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে।
মিড ডে মিলে কারচুপির অভিযোগ: এবার মিড ডে মিলেও (Mid Day Meal) কারচুপি? কচিকাঁচাদের খাবারের টাকা যাচ্ছে কারও পকেটে? স্কুলে মিড ডে মিল খেয়েছে প্রায় ৫০ জন। অথচ সরকারি দফতরের হিসেবে সংখ্যাটা দেখানো হচ্ছে, ৩৫০। পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) নন্দকুমারে, কড়ক শচীন্দ্র স্মৃতি হাইস্কুলে মিড ডে মিলে এমনই কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও এক অশিক্ষক কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। নন্দকুমার ব্লকের বিডিও’র দাবি শনিবার তিনি এই স্কুলে সারপ্রাইজ ভিজিটে গিয়েছিলেন, সেখানে গিয়ে দেখেন, ৫০ জনের মিড ডে মিলের আয়োজন করা হয়েছে। অথচ বিকেলবেলা, সরকারি পোর্টালে যে হিসেব আপলোড করা হয়, সেখানে দেখা যায়, নাম রয়েছে ৩৫০ জনের।
মঙ্গলবারই, প্রধান শিক্ষক ও একজন শিক্ষা কর্মীকে শোকজ করার জন্য স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেন বিডিও। যদিও, প্রধান শিক্ষকের সাফাই, পুরোটাই হয়েছে ভুলবশত। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিতাইচাঁদ প্রামাণিক বলেন, “স্কুলে পরীক্ষা চলছে তাই মেসেজে হয়তো ভুল করে কোনো সমস্যা হয়েছে।’’
শুরু রাজনৈতিক তরজা: মিড ডে মিলে ‘কারচুপি’-র অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য প্রদীপ দাস বলেন, “লক্ষ লক্ষ টাকা তৃণমূল নেতাদের দিয়ে শিক্ষকরা চাকরি পাচ্ছে। আর সেই পয়সা তোলার জন্য শিক্ষকরা মিড ডে মিলে কারচুপি করছে আর সেই টাকার ভাগ তৃণমূল নেতাদের ও দিচ্ছে।’’ পাল্টা তৃণমূল নেতা ও, নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা দীননাথ দাস বলেন, “বিজেপির স্বভাব হচ্ছে বিরোধিতা করা। কোনওও উন্নয়নে থাকে না।ফাটা বাঁশ, সবসময় চিৎকার করে।’’ কারচুপির অভিযোগে, শোকজের মুখে পড়া অশিক্ষক কর্মচারীকে ফোন করা হলে, তিনি ফোন ধরেননি।
স্কুল ইউনিফর্মের বিরোধিতা: এদিকে স্কুলের পোশাক নীল-সাদা করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কোচবিহার শহরে পথে নামল ৩টি স্কুলের পড়ুয়া ও প্রাক্তনীরা। মিছিল করে জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে দেখানো হয় বিক্ষোভ, জমা দেওয়া হয় ডেপুটেশন। সুনীতি অ্যাকাডেমি, জেনকিন্স স্কুল ও রামভোলা হাইস্কুলের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিল আলাদা হলেও জেলাশাসকের দফতরে একযোগে বিক্ষোভ দেখান সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ৩টি স্কুলের পড়ুয়া ও প্রাক্তনীরা। সবার দাবি, স্কুলের পোশাক নিয়ে যে আবেগ, ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে, তার সঙ্গে আপস করা চলবে না।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘আমি কারও সঙ্গে সেটিং করতে যাই না, সবাই আমার কাছে আসে’, কটাক্ষের জবাব মমতার