কলকাতা: তৃণমূল (TMC) জমানায় প্রায় একদশক ধরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)।  নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee),  অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) পর, এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করল ইডি। আজই আদালতে পেশ করা হবে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ককে। গতকাল সিজিও কমপ্লেক্সে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। ইডি সূত্রে খবর, বয়ানে অসঙ্গতি ও তদন্তে সহযোগিতা না করায় গ্রেফতার করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে। 

প্রাথমিক টেট-দুর্নীতি (TET) মামলায় তাঁকে সভাপতির পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খাওয়ার পর, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক। সর্বোচ্চ আদালতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের কিংপিন বলে দাবি করে CBI। এরপরই ১০ অক্টোবর পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্যর রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ায় সুপ্রিম কোর্ট। 

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার গ্রেফতার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করল ইডি। আজই আদালতে পেশ করা হবে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ককে। বয়ানে অসঙ্গতি ও সহযোগিতা না করার অভিযোগ মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে, এমনটাই খবর ইডি সূত্রে।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হতেই রাজ্য সরকার ও রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) তীব্র আক্রমণ শানালেন সুজন চক্রবর্তী। পাশাপাশি গ্রেফতারিতে অনেকটা দেরি হয়েছে বলে দাবি করার পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করলেন বাম নেতা।

'অনেক তথ্য হাপিস করেছেন'

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেছেন, 'এ রাজ্যের লাখো লাখো যুবকের সর্বনাশ করেছেন। স্বাভাবিক ও সংগত কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারিতে অনেকটা দেরি হয়ে গেল, অনেক তথ্য হাপিস করেছেন এর মাঝে। জেরার পরে তদন্ত এড়ানোর জন্য পালিয়ে থেকেছেন, লুকিয়ে থেকেছেন। কে অপরাধী সেটা তো সবাই জানত, কিন্তু সব জেনে শুনেও টাকার ভাগের জন্য ফের এমএলএ করা হয়েছে। আসলে যত বড় অপরাধী তত বড় তৃণমূল নেতা।'

পাশাপাশি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়ে সুজন চক্রবর্তীর সংযোজন, 'একা মানিক তো সবটা করেননি, কীভাবে মানিক, সুবীরেশ, শান্তিপ্রসাদরা এই কাজ চালিয়ে গেছেন, লাখ লাখ যুবকের প্রাপ্য চাকরি কেড়ে নিয়ে চোখের জল ফেলতে বাধ্য করেছেন, সেটা জানতে মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা করা উচিত।'