প্রকাশ সিন্হা, দীপক ঘোষ ও অরিত্রিক ভট্টাচার্য: গরুপাচারের (Cattle Smuggling Case) টাকায় পরিচারক থেকে রাঁধুনির নামে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) সম্পত্তি কিনেছেন বলে এ বার অভিযোগ সামনে এল। বলা হয়েছে, তাঁদের নামে অ্যাকউন্ট খুলে বিপুল অঙ্কের টাকা লেনদেন করেছেন অনুব্রত। গরুপাচার মামলার চার্জশিটে এমনই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। অনুব্রত মণ্ডল কাদের নামে সম্পত্তি কিনেছেন, সেই নামও উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


অনুব্রতকে নিয়ে ফের চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআই-এর


সিবিআই চার্জশিটে যাঁদের নাম উল্লেখ করেছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির পরিচারক, কেউ আবার রাঁধুনি। তাঁদের নামে খোলা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ। 


এই অভিযোগের সপক্ষে গরু পাচার মামলার চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি করেছে সিবিআই। তাদের দাবি, এই বিপুল টাকা অনুব্রত মণ্ডলের কাছে আসত গরু পাচারকারীদের থেকে। তারপর সেই টাকা দিয়ে পরিচারক, রাঁধুনিদের নামে বেনামি সম্পত্তি কিনতেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। 


আরও পড়ুন: Mohammed Salim: 'তৃণমূলের থেকে বিজেপিতে পালিয়ে যাওয়া চোরের জ্বালা ধরেছে', মোমিনপুরকাণ্ডে বিস্ফোরক সেলিম


চার্জশিটের ৭ নম্বর পাতায় দাবি করা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল বাড়ির কর্মীদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলতেন। তার পর তাঁদের সই করা চেক দিয়ে সেই অ্যাকাউন্টে গরু পাচারের টাকা জমা করতেন। বাড়ির কর্মীদের নামে অনুব্রত দামী দামি গাড়িও কিনতেন বলে চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই।


চার্জশিটের ৮ নম্বর পাতায় বিদ্যুৎবরণ গায়েনের উল্লেখ করা হয়েছে। দাবি করা হয়েছে যে, বেআইনি গরু পাচারের টাকা দিয়ে, বিদ্যুৎবরণ গায়েনের নামে অনেক সম্পত্তি কেনেন অনুব্রত। ৮ নম্বর পৃষ্ঠায় উঠে এসেছে বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় বলে এক ব্যক্তির নামও। বলা হয়েছে,  অনুব্রত মণ্ডল এবং সায়গল হোসেন দু’টি অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন বিশ্বজ্যোতির নামে। তাঁর অজান্তেই ওই অ্যাকাউন্ট দিয়ে বিপুল টাকার লেনদেন হত। 


রাঁধুনি,পরিচারকের নামে সম্পত্তি কিনতেন অনুব্রত!


বিশ্বজ্যোতির নামে একটি পেট্রোল পাম্পেরও আবেদন করা হয় বলে দাবি করেছে সিবিআই। তাদের জাবি, ওই অ্যাকাউন্ট থেকে সিকিওরিটি ডিপোজিট হিসেবে ২৬ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা মেটানো হয়। ২০১৯ সালে বিশ্বজ্যোতির সম্মতি না নিয়ে, তাঁর নামে একটি স্করপিও গাড়িও কেনেন অনুব্রত। গাড়ির ঋণের EMI অনুব্রতই মেটাতেন।  


চার্জশিটের ৯ নম্বর পাতায় জ্যোতির্ময় দাস ওরফে লালা বলে একজনের নাম উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, জ্যোতির্ময় অনুব্রতর বাড়িতে কাজ করতেন। অনুব্রত মণ্ডল" data-type="interlinkingkeywords">অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যার অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকা জমার ব্যাপারে তথ্য দিয়েছিলেন তিনি।