সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : জমি-বিতর্কে স্বস্তি অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen), উচ্ছেদে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। 'জেলা আদালতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অমর্ত্য সেনের জমির বিষয়ে হস্তক্ষেপ নয়, 'অমর্ত্য সেনের জমির বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ', জমি খালির জন্য এস্টেট অফিসার দেওয়া নির্দেশের উপর হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল ।


জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেন এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Viswa Bharati University) কর্তৃপক্ষের মধ্যে আইনি টানাপোড়েন চলছেই। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে তাঁর শান্তিনিকেতনের প্রতীচী বাড়ির ১৩ ডেসিমল জমি আগামী ৬ মে-র মধ্যে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্বভারতী। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমি খালি না করলে, তাঁকে উচ্ছেদ করা হবে জানিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে নোটিসও দেওয়া হয়। অমর্ত্য় সেনের বাড়ি, প্রতীচীর গেটে আটকে দেওয়া হয় সেই নোটিস। বিশ্বভারতীর এই উচ্ছেদ-হুঁশিয়ারির বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলা জজ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী। আগামী ১৫ মে মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিককে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।                                                 


আরও পড়ুন- ফাঁদে ফেলতে সাক্ষাৎকার! অপপ্রচার নিয়ে মুখ খুললেন খোদ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়


বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৯৪৩ সালে অমর্ত্য সেনের বাবা, প্রয়াত আশুতোষ সেনের নামে ৯৯ বছরের জন্য ১২৫ ডেসিমল জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল ৷ পরবর্তীতে ২০০৫ সালে এই জমি অমর্ত্য সেনের নামে মিউটেশন হয়। এরপর বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, প্রতীচীতে লিজের ১২৫ ডেসিমেল ছাড়াও অতিরিক্ত ১৩ ডেসিমল জমি দখল করে রাখা হয়েছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের পাল্টা দাবি, প্রতীচীর জমি তাঁর বাবা লিজ নিয়েছিলেন। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি তা ভোগ করছেন।                                                                        


আরও পড়ুন ; গরমের মরসুমে চুলের পাশাপাশি কীভাবে যত্ন নেবেন স্ক্যাল্পের? রইল কিছু সহজ টিপস