সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: জয়নগরকাণ্ডে (Jaynagar) তোলপাড়ের মাঝেই এবার আমডাঙায় (Amdanga) তৃণমূল (TMC) প্রধান খুনে অভিযুক্তর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই আফতাব নামে এক অভিযুক্তর বাড়ি ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বারাসাত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ঘটনার আকস্মিকতায় একটা ঘটনা ঘটে যায়। এরপরই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জয়নগরে প্রথমে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন! তারপর খুনের নেপথ্যে সন্দেহভাজনকে পিটিয়ে মারা! বেছে বেছে একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ!
প্রশ্ন উঠছে, খুনের কোনও ঘটনা ঘটলে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এভাবেই আইনশৃঙ্খলা হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা কি রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে? কারণ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের পর এবার উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙাতেও একই অভিযোগ উঠল!
তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান খুনে FIR-এ নাম থাকা অভিযুক্তের বাড়িতে, ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সন্ধে পৌনে সাতটা নাগাদ,আমডাঙার কামদেবপুর হাটের সামনে জনবহুল এলাকায় বোমা মেরে খুন করা হয় তৃণমূল পরিচালিত আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডলকে।
এই ঘটনায় পরিবারের তরফে দায়ের করা FIR-এ তৈয়ব আলি মণ্ডল, তাঁর ছেলে আনোয়ার হোসেন, ছাড়াও পাপ্পু, আফতাব নামে আরও দুজনের নাম রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, তৃণমূল নেতা খুনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোনাডাঙা গ্রামে আফতাবের বাড়িতে চড়াও হয় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। প্রথমে ভাঙচুর, তারপর পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভিতরে তখন ছিলেন আফতাবের পরিবারের সদস্যরা। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান খুনে অভিযুক্ত ও FIR-এ নাম থাকা আফতাব এখনও বেপাত্তা। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার সময় আফতাব-সহ বাকি অভিযুক্তদের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন কোথায় ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।