কমলকৃষ্ণ দে , বর্ধমান : ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে অ্যাডিনো ( Adenovirus ) আতঙ্ক। এবার বর্ধমানেও ( Burdwan ) শ্বাসকষ্ট নিয়ে শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটল। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ( Burdwan Medical College ) হাসপাতালেও সোমবার ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদের একজনের বয়স একমাস, আরেকজন ৪ মাসের।
হাসপাতালের দাবি, দুই শিশুর মৃত্যুর কারণ অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস। বর্ধমান মেডিক্যালের তরফে জানানো হয়েছে, শিশু বিভাগে ১২০টির ওপর বেড রয়েছে। বর্তমানে ভর্তি রয়েছে ৯৯ জন শিশু। সূত্রের খবর, এদের অনেকেরই জ্বর, শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ১৯-২০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। পরিস্থিতি বিচার করে আরও ৩০-৪০টি বেডের ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ন :
Adenovirus : বেডের হাহাকার, ভর্তি ICU, তবু কোন উপসর্গগুলি দেখলে শিশুকে নিয়ে যেতেই হবে হাসপাতালে?
অন্যদিকে, এবার বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ( Bankura Sammilani Medical College ) দুই শিশুর মৃত্যু হল। একমাস ও ৫ মাস বয়সী দুই শিশুরই অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ ছিল বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের সুপার। অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে শিশু মৃত্যু ১ মার্চ পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর মধ্যে মেডিক্যাল কলেজে এখনও পর্যন্ত ১৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। বি সি রায় শিশু হাসপাতালে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এছাড়াও, পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পিয়ারলেস হাসপাতালে ২ ও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজেও মৃত্যু হয়েছে ২ শিশুর।
ঠিক কোন কোন উপসর্গ দেখলে বুঝতে হবে, শিশুর জ্বর সর্দিকাশি মারাত্মক আকার নিয়েছে, অ্যাডিনোভাইরাস ( Adenovirus ) হলেও হতে পারে? অ্যাডিনো আক্রান্ত কোন শিশুকে আর বাড়িতে ফেলে রাখা যাবে না ? দরকার তৎক্ষণাৎ হসপিটালাইজেশন ? এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জয়দেব রায় ( Dr. Jaydeb Roy ) । কতগুলি উপসর্গ আছে, যা দেখলে শিশুকে আর বাড়িতে ফেলে রাখা যাবে না। সেগুলি হল -
- টানা জ্বর
- শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া
- শ্বাসকষ্ট
- অক্সিজেন লেভেল পড়ে যাওয়া
- প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত
- প্রস্রাব কমে যাওয়া
- প্রবল ডায়ারিয়া
- শ্বাসকষ্টের ফলে পাঁজর ঢুকে যাওয়া
এই উপসর্গগুলি দেখলেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে ।